সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একগুচ্ছ অভিনব প্যাকেজ জেএনরায় হাসপাতালের

0
1

কোভিড- ১৯ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এবার সাহায্যের হাত বাড়ালো উত্তর কলকাতার জে এন রায় হাসপাতাল। সংক্রমণের হাত থেকে যাতে রক্ষা পান, বাড়িতেই যাতে সঠিক পরিচর্যা করা যায়, লালারসের পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই একগুচ্ছ অভিনব প্যাকেজ ঘোষণা করল এই হাসপাতাল। এই প্যাকেজের নাম দেওয়া হয়েছে COVID CARE@HOME

জেনে নিন কি আছে এই প্যাকেজে।

14 দিনের এই ‘হোম কেয়ার’ প্যাকেজে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকায় মিলছে ভিডিও কনসালটেশন এ, সুযোগ। প্রত্যেক সপ্তাহে মিলবে তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শ । একজন ডায়েটিশিয়ান এবং একজন ফ্যামিলি কনসালটেশনের জন্য সাহায্য করবেন। প্রত্যেকদিন পরিচর্যার জন্য থাকবেন একজন নার্স । আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে একটি টুল কিট। যার মধ্যে থাকবে 25 টি মাস্ক, 25 টি গ্লাভস, একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার এবং 500 এমএল- এর একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। একই সঙ্গে সঠিক দামে 10 কিলোমিটারের মধ্যে থাকছে মেডিসিনের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা এবং প্রত্যেক সপ্তাহে 24 ঘণ্টা হেল্পলাইনে কথা বলার সুযোগ ।
‘অ্যাডভান্স হেল্প কেয়ারে’ 7500 টাকায় পাবেন ভিডিও কনসালটেশন এর পাশাপাশি বাড়িতে পৌঁছে যাবে একটি টুল কিট। তাতে থাকবে 25 টি মাস্ক ও গ্লাভস, একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার, একটি পিপি ই, একটি N 95 মাস্ক, 500 এমএল- এর একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, একটি স্পাইরোমিটার এবং একটি পালস অক্সিমিটার। এই প্যাকেজেও
10 কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পাবেন সঠিক দামে মেডিসিনের হোম ডেলিভারি সুযোগ এবং 10 কিলোমিটারের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। সঙ্গে থাকছে 24 ঘন্টা হেল্প লাইনে কথা বলার সুযোগ।

‘কমপ্লিট হোম কেয়ারে’ 13500 টাকা মিলবে ভিডিও কনসালটেশন এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার সুযোগ।
যে টুল কিট হোম ডেলিভারি করা হবে তাতে 7500 টাকার প্যাকেজ এর সমস্ত কিছুর পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে পাবেন একটি স্টিম ভ্যাপোরাইজার। প্রত্যেক সপ্তাহে 10 কিলোমিটারের মধ্যে সঠিক দামে মেডিসিনের হোম ডেলিভারি, 10 কিলোমিটারের মধ্যে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং 24 ঘণ্টা হেল্পলাইন এ কথা বলার সুযোগ।
হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক সজল ঘোষ বলেন, যতটা সম্ভব কম খরচে পরিষেবা দেওয়া যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে । কারণ, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা । বেসরকারি হাসপাতালের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না অধিকাংশই । তাদের সেই ভরসার জায়গাটাই ফিরিয়ে দিতে চাই।