রেলমন্ত্রকও এবার কর্মী-সংকোচনের পথে হাঁটার কথা বিবেচনা করছে৷
মন্ত্রক চাইছে ‘মাল্টি-টাস্কিং’ প্রথা চালু করতে৷ এর অর্থ, এক ব্যক্তি একাধিক পদে কাজ করবেন। যেমন স্টেশন মাস্টাররা একইসঙ্গে পালন করবেন ট্র্যাক মেনটেনার্সের ভূমিকা। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করবেন রেলের অন-বোর্ড টেকনিশিয়ান কিংবা আরপিএফ কর্মীরা।
আর্থিকভাবে ‘বিপন্ন’ রেলকে বাঁচাতে এমন প্রস্তাবই চূড়ান্ত হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর৷
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জোন থেকে এ ধরনের প্রস্তাব পেয়েছে মন্ত্রক৷ এ ধরনের প্রস্তাবের ফলে রেল কর্মী সংকোচনের পথে হাঁটবে বলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র নিজেই যেখানে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কর্মী ছাঁটাই করতে নিষেধ করছে, সেখানে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলমন্ত্রক ?
এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সরকারি সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে রেলের কোনও কর্মীকে যাতে সমস্যায় না পড়তে হয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সেটিই সুনিশ্চিত করতে চাইছে মন্ত্রক। ওদিকে, খরচ কমাতে শুধুমাত্র সুরক্ষা সংক্রান্ত পদ ছাড়া নতুন কোনও পোস্ট তৈরি করতে জোনগুলিকে নিষেধ করেছে রেল বোর্ড। পাশাপাশি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে গত দু’বছরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন পদের কাজকর্ম। সেখানে যদি কোনও নিয়োগ না হয়ে থাকে, তাহলে ওইসব পদও বিলুপ্ত করা যায় কি না, তা জোনগুলিকে দেখতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রেল বোর্ডের মেম্বার (ট্র্যাফিক) পি এস মিশ্র জানিয়েছেন, “এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জোন নানা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”































































































































