যুবকের চাকরি বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ দিল হাইকোর্ট।
ঘটনা কী?
২০১৮ সালে অসম রাইফেলস কনস্টেবল পদে লোক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। কলকাতার যুবক কুলদীপ শাহ আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষা, ফিজিক্যাল টেস্ট, মৌখিক সাক্ষাৎকারে উতরে যান ওই যুবক। এমনকী চাকরি প্রাপকদের তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। কিন্তু ভেরিফিকেশনের সময় তৈরি হয় সমস্যা। দেখা যায় নিজের জন্মের তারিখই ভুল লিখে বসে আছেন তিনি। ফর্ম ফিলাপের সময় তিনি যে জন্ম তারিখ লিখেছিলেন তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইস্যু করা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডে উল্লিখিত তারিখের মিল নেই।
কুলদীপের জন্মের তারিখ ৩০ এপ্রিল ১৯৯৭। কিন্তু ফর্ম ফিলাপের সময় তিনি লিখে ফেলেন ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭। যার জেরে সরকারি চাকরি হাতছাড়া হয়ে যায় ওই যুবকের। নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে এসএসসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কুলদীপ।
কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলা ওঠে বিষয়টি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে। বিচারপতি বলেন, “জন্ম তারিখ ভুল লেখা হয়েছে সেটা ঠিক। কিন্তু এই ভুলের জন্য চাকরি হাতছাড়া হওয়া দুঃখজনক। মানবিক দিক থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের ডিরেক্টরকে বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসএসসিকে ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্টাফ সিলেকশান কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটা দেখেই এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে।”