ধারাবাহিকভাবে তেলের দাম বাড়লেও এখনও পর্যন্ত সবজি ও মাছের বাজারে তার আঁচ পড়েনি

0
1

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

ফের মহার্ঘ হল পেট্রল-ডিজেল।
মাঝে অল্প বাড়লেও বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম এখনও আদৌ সে ভাবে মাথা তোলেনি।
ধারাবাহিকভাবে তেলের দাম বাড়লেও এখনও পর্যন্ত সবজি ও মাছের বাজারে তার আঁচ পড়েনি। শনিবার সোদপুর, বেলঘরিয়া, মানিকতলা, বাগুইআটির মতো ছোট-বড় সব বাজারেই ছিল এক ছবি। দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ দেখা যায়নি । সবজির দাম ছিল মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে । জ্যোতি আলুর দাম ২৪ টাকা থেকে ২৬ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। চন্দ্রমুখীর দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ২৪ টাকা থেকে ২৬ টাকা কেজি । উচ্ছে, পটল, ঝিঙে, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে মিলেছে। অন্যান্য সবজির দামও ছিল নাগালের মধ্যেই। একই ছবি দেখা গিয়েছে মাছের বাজারেও।দেড় কেজির গোটা রুইমাছ ২০০ টাকা কেজি, চিংড়ির দাম ৩০০ টাকা, বোয়ালের দাম ২৫০ টাকা কেজি, ট্যাংরা মাছ বিকিয়েছে ৩০০ টাকা কেজি দরে, ভেটকি ৪০০ টাকা কেজি, কাটা পোনা বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। তবে বাজারে ইলিশের দাম ছিল কিছুটা বেশি। ৬০০ থেকে ৭৫০ গ্রামের ইলিশ বিকিয়েছে ৯০০ টাকা কেজি দরে ।
বরং তুলনামূলকভাবে মুরগির মাংসের দাম অনেকটাই বেড়েছে। গোটা মুরগি ১৪৫ টাকা কেজি, কাটা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। সেই তুলনায় খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে গিয়ে পৌঁছেছে। সবজি এবং মাছের বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির এখনও সেই প্রভাব না পড়লেও তুলনামূলকভাবে ফলের বাজার ছিল বেশ খানিকটা চড়া। আঙুর মিলেছে ১০০ টাকা কেজি, আপেল ৮০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে, বেদানা ১০০ টাকা কেজি, শসা ৪০ টাকা কেজি, আপেল ১০০ টাকা কেজি।
রাজ্য সরকারের গঠন করা বাজারে নজরদারি করা টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, এখনও সেভাবে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে না পড়লেও আগামী সপ্তাহের মধ্যে তেলের দাম বৃদ্ধি যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে বাজারদর মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাবে। কারণ, হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সে ক্ষেত্রে তাদেরকেও মহাজনের কাছ কাছ থেকে এবং পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে সবজি , মাছ, মাংস কিনে বিক্রি করতে হবে। তাই তারা চাইছেন অবিলম্বে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করুক ।

ছবি- দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়