বেসরকারি স্কুলগুলির ফিজ নিয়ে রাজ্য জুড়ে অভিভাবকদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, বেসরকারি স্কুলগুলির ফিজ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান খুব পরিস্কার। সরকার এই সময়ে কোনও ধরনের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। তার কারণ পরিস্থিতির কারণে বহু পরিবার অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। কারওর চাকরি গিয়েছে, কেউ বেতন কম পাচ্ছেন। ফিজ বৃদ্ধি হলে তাঁরা চাপে পড়বেন। তাই অনুরোধ করবো এই কঠিন সময়ে ফিজ বৃদ্ধি করবেন না। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ফিজ বৃদ্ধি নিয়ে আমি মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং পরিস্থিতি বিচার না করে ফিজ বৃদ্ধি করছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ করে ব্যবস্থা নেওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে শুক্রবার মনে করিয়ে দেন, অনেক অভিভাবক সরাসরি ফিজ মকুবের কথা বলছেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। তার কারণ, স্কুলগুলিকে তাদের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দিতে হয়। সেই অর্থ আসবে কোথা থেকে! সুতরাং ফিজ মকুব যুক্তিগ্রাহ্য নয়।
তবে এখন ক্লাস হচ্ছে না। যদিও বহু স্কুলে অনলাইনে ক্লাস করছে। স্কুলগুলি বেশ কিছু ফিজ নিচ্ছে যেগুলির সুবিধা মোটেই এই সময়ে পড়ুয়ারা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কম্পিউটার ক্লাস, লাইব্রেরি, স্পোর্টস ক্লাস ইত্যাদির কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন নৈতিকভাবে এই ফিজগুলি স্কুলগুলির নেওয়া উচিত নয়।
দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্যের পর বেসরকারি স্কুলগুলি নিয়ন্ত্রিত ফিজের বার্তা দেয় কিনা!





























































































































