রথে আসেনি বায়না, অতিমারির গ্রাসে চন্দননগরের আলোর খেলা

0
1

রথের দিনই চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হালখাতার রেওয়াজ। এইদিনই বড় দুর্গা পুজো কমিটিগুলি সেই বছর আলোর খেলায় কী হবে সেই বরাত দিতে চন্দননগর যান। পুজো কমিটিগুলির থেকে বায়না পেয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন আলোর জাদুকররা। কিন্তু এবছর করোনার আবহে সব কিছু থমকে গিয়েছে। চন্দননগরের এক পরিচিত আলোক শিল্পী বাবু পাল জানান, চন্দননগরের আলোর খ্যাতি জগৎ জোড়া। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাগরপারের বিভিন্ন দেশেও নানা অনুষ্ঠানে আলোর ভেলকি দেখাতে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন আলোক শিল্পীরা। কিন্তু এবছর সব কিছু স্তব্ধ। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই- বড় বড় পুজো কমিটিগুলি রথযাত্রার দিন বায়না নিয়ে তাঁদের কাছে যান। কিন্তু এবছর কেউ জানে না আদৌ পুজো হবে কি না। কর্মচারীরাও লকডাউনের কারণে  প্রায় কর্মহীন।

আলোক শিল্পীদের মতো মৃৎশিল্পীদের কাছে রথের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ শুরু করেন শিল্পীরা। হুগলির মৃৎশিল্পী স্বপন পালের বক্তব্য, অন্যবার এই সময় প্রতিমার কাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যায়। পুজো কমিটির কর্তাদের আনাগোনায় ব্যস্ত থাকে গোলা। এবছর কী হবে তা তা জানা নেই। এবছর অন্নপূর্ণা, বাসন্তী, ভবানী পুজো সবই হয়েছে ঘট ও পটের মাধ্যমে। চারমাস লকডাউনে নিঃস্ব শিল্পীরা। এখনও পর্যন্ত দু-চারটি প্রতিমার বরাত পেয়েছেন তাঁরা। অতিমারির আতঙ্ক কাটিয়ে সব কিছু আবার কবে স্বাভাবিক হবে? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে শিল্পীদের।