আপাত স্বস্তি, থমকাল পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি

0
1

১৮ দিন পর আপাত স্বস্তি। শহরে বাড়ল না পেট্রোলের দাম। মঙ্গলবারের মতোই দাম রইল ৮১.৪৫ টাকাই। স্বস্তি ডিজেলেও। দাম রইল ৭৪.৬৩ টাকাই। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে। কিন্তু তার কোনও প্রভাবই পড়নি কলকাতা সহ সারা দেশে। লকডাউনের কারণে তেলের দামবৃদ্ধি বন্ধ থাকার পর তা হু হু করে বাড়ছিল। ৭ জুন থেকে বাড়ছিল তেলের দাম। এখনও পর্যন্ত এই ১৮ দিনে এসে পেট্রোল ও ডিজেলে দাম আর বাড়ল না। এতদিন বাদ একদিন হলেও বিষয়টা স্বস্তিজনক তা বলা যেতেই পারে।

মঙ্গলবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছিল ৮১.৪৫ টাকা বুধবারও সেই দাম থাকল। ডিজেলের দাম হয়েছিল ৭৪.৬৩ টাকা। যা সোমবারে দাম ছিল ৭৪.১৪ টাকা। দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪৯ পয়সা। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ফের বেড়ে ৭৯.৭৬ টাকা। আর ডিজেলের ৭৯.৪০। চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম থমকেছে ৮৩.০৪তে । মুম্বইয়ের এই দাম ৮৬.৫৪ তে আটকেছে। গত ৭ জুন থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে শহর বিশেষে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের স্থানীয় শুল্কের তারতম্যের ফলে এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণও ভিন্ন।
তবে, চলতি মাসে আনলক শুরু হতেই রাস্তায় যানবাহন বেড়েছে। পাশাপাশি চাহিদাও বেড়েছে পেট্রল-ডিজেলের। ২০ এপ্রিল থেকেই সরকার দফায় দফায় লকডাউন শিথিল করা শুরু করেছে দেশজুড়ে। তার জেরে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে পেট্রল-ডিজেলের চাহিদা ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ওই দুই জ্বালানির চাহিদা গত ফেব্রুয়ারি মাসের তিন-চতুর্থাংশে পৌঁছেছে। জুন মাসে বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ায় বিমান জ্বালানির চাহিদাও প্রচুর বাড়ে। পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে পেট্রল বিক্রি হয়েছিল ৯,৭৩,০০০ মেট্রিক টন। মে মাসে বিক্রি হয়েছে ১৭,৬৯,০০০ মেট্রিক টন। এপ্রিল মাসের প্রায় দ্বিগুণ।  ডিজেল বিক্রিও ৩২,৫০,০০০ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৪,৯৫,০০০ মেট্রিক টন, অর্থাৎ ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি! পেট্রল-ডিজেলের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।