ত্রাণ নিয়ে কোনও দলের, কোনও রকম রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। বুধবার নবান্নে সর্বদল বৈঠকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারোনা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি এদিন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা। সিপিএমের তরফ থেকে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ও সূর্যকান্ত মিশ্র। কংগ্রেসের তরফ থেকে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং অসিত মিত্র। বিজেপি তরফ থেকে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার সহ তিনজন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফ থেকে ছিলেন বিনয় তামাং সহ দুজন। এছাড়াও আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই-সহ সব দলের রাজনৈতিক নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিলেন সুব্রত বক্সি ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোন দলেরই কোনরকম কারচুপি বা স্বজনপোষণ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন,
• ত্রাণ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন সেদিকে নজর দিতে হবে।
• যাঁরা সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের নাম যদি তালিকা না থাকে- সাতদিনের মধ্যে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে।
• মুখ্যমন্ত্রী বিডিওদের নির্দেশ দেন, “যাঁরা সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের নাম দায়িত্ব নিয়ে তালিকায় তুলুন”।
• ফর্ম যদি কেউ ফিলাপ করতে না পারেন, সাদা কাগজে দরখাস্ত করে দিলেও বিডিওদের সে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে।
একইসঙ্গে মমতা বলেন, “ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু বিডিও অফিস ভাঙচুর করবেন না। প্রয়োজনের কথা বলুন। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা জানান”।





























































































































