ভারতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতেই চিন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি দখলে নিয়েছে। এবং সেখানে আউট পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করছে। চিন নেপালের জমি দখল খবর সামনে আসার পরে এই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছে৷
নেপালের কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বুধবার ১১ টি স্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷ তালিকায় দেখা গিয়েছে, চিন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি নিজের দখলে নিয়েছে। আর সেখানেই আউট পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। বলা হয়েছে, দু’দেশের স্বাভাবিক সীমানা হিসাবে যে নদী বয়ে চলেছে, তার গতিপথও সেই কারণে বদলে দিয়েছে চিন।
এই ৩৩ হেক্টরের মধ্যে ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়েছে নেপালের হুমলা জেলায়৷ এখানে চিন নির্মাণকাজ চালানোর ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গিয়েছে।
রাসুয়া জেলাতেও চিন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে৷ এখানেও একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দেওয়া হচ্ছে । সিন্ধুপালচক জেলার ১১ হেক্টর জমি খারানে খোলা ও ভোতেকোশি, এই দুই নদীর স্বাভাবিক সীমানা তিব্বতের মধ্যে পড়ছে দাবি করে দখল করেছে চিন। এতখানি জমি দখল হওয়ার কারণেই নেপালের কৃষি মন্ত্রকের তরফে
প্রশাসনকে বলা হয়েছে, চিনের আগ্রাসনের ফলে নেপালের আরও জমি চলে যেতে পারে।
ওদিকে, চিনের আরও এক কৌশল সামনে এসেছে৷ সম্প্রতি নেপালে চিন সরকার একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে৷ ওই ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপের মূল বিষয়ই ছিল, কীভাবে প্রশাসন আরও সুশৃঙ্খল ভাবে চালানো যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর মাধ্যমেই নেপাল প্রশাসনে সরাসরি শি জিনপিংয়ের নাক গলানো শুরু হয়ে গেল।