পাশের সিটেই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী, হুলস্থূল জনশতাব্দীতে!

0
3

ট্রেন চলতে শুরু করেছে। যাত্রীরা বসে আছেন নিজের নিজের সিটে। এক যাত্রীর ফোন বেজে উঠল। তারপরই বদলে গেল ট্রেনের কামরার চেনা চিত্রটা। ফোনটা আসার পরেই চমকে উঠেছিলেন ওই যাত্রী। ওপারের কণ্ঠ জানিয়েছিল ভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ! তারপরেই যাকে বলে হুলুস্থুলু কাণ্ড। পাশের সিটেই বসে ভাইরাস আক্রান্ত রোগী! খবর ছড়াতেই আতঙ্কে চেঁচামেচি জুড়ে দেন ট্রেনের যাত্রীরা। কামরা ছেড়েও পালিয়ে যান অনেকে।দেহরাদূনগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে তখন তুলকালাম চলছে।
রেল সুত্রে খবর, ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি ঋষিকেশের শ্যামপুরের বাসিন্দা। নয়ডার একটি ব্যাটারি কারখানায় কাজ করেন। রবিবার দুপুরে গাজিয়াবাদ থেকে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। তার আগে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিয়ে এসেছিলেন নয়ডায়। মাঝপথেই ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয় যে ভাইরাস পজিটিভ।

যদিও ওই ব্যক্তির বক্তব্য, তাঁর শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। অফিস কর্তৃপক্ষই তাঁকে ভাইরাস টেস্ট করাতে বলে। ট্রেনে ওঠার আগের দিনই নমুনা জমা করে আসেন ল্যাবরেটরিতে। সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ জানার পরে ট্রেন থেকেই তিনি কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। হরিদ্বারে ট্রেন থামিয়ে ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিয়ে যায় জিআরপি।
হরিদ্বারের স্টেশন হাউস অফিসার অনুজ সিনহা বলেছেন, ভাইরাস সন্দেহে থাকা এক ব্যক্তি কীভাবে ট্রেনে উঠতে পারেন সে বিষয়ে গাজিয়াবাদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

সংক্রামিত ব্যক্তির যদিও বক্তব্য তিনি নাকি বুঝতেই পারেননি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসবে। তাঁর সঙ্গে একই কামরায় থাকা ২২ জনকে মহেশ্বরী সেবা সদল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।