দ্রুত উড়ান ধরার সমস্যাকে হাতিয়ার করে প্রকাশ্যে জালিয়াতি চলছে দমদম বিমানবন্দরে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দর খোলার পরেই এই পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সমস্ত কিছু জানার পরেও চোখ বন্ধ করে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রর ভূমিকা নিয়েছে।
বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী প্রবেশের সময় পার্কিং টোল কাউন্টার আছে। নিয়ম হলো, সেখানে একটি কুপন দেওয়া হয়। সময় ১০ মিনিট। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গেলে কোনও টাকা লাগবে না। সময় পেরলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। কিন্তু এই প্রতিবেদকসহ প্রায় সকলের অন্য অভিজ্ঞতা। ব্যাপারটা এইরকম, বিমানবন্দরে ঢুকতে নেওয়া হচ্ছে টাকা!
সেটা কী?
টোল ট্যাক্সের ঢোকার মুখেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি ১০০টাকার কুপোন। মহেশ সানি এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ওই কুপোন। কিন্তু কেন? জানতে চাইলে বলা হচ্ছে গাড়ি পার্কের। উত্তরে বললাম গাড়ি তো পার্ক করব না। ছেড়ে চলে আসব। পাল্টা জানানো হলো এটা দিতে হবে। কিন্তু কেন? বলা হলো ওনার সঙ্গে কথা বলুন। এবার ‘তাঁর’ সঙ্গে কথা হলো। বোঝাতে পারছেন না। বলছেন এটা লাগছে। বললাম এয়ারপোর্টের গেটের সামনে কোনও গাড়িকেই দাঁড়াতে দেয় না। ফলে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্ন নেই। আর ১০ মিনিটের নির্দিষ্ট সময় পেরলে তো টাকা নেওয়ার অনুমতি আছে সেটা নিন। তীব্র বাক বিতন্ডার পর আমাদের ছাড়া হলো। কিন্তু চোখের সামনে দেখলাম আমার চোখের সামনে দিয়ে আরও বহু গাড়িকে দাঁড় করিয়ে এই বেআইনি টাকা তোলা অবাধে চলছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কী জেনেও না জানার ভান করে বসে আছে! নাকি নিন্দুকরা যেটা বলছে… কিছু ওনাদের পকেটেও ঢুকছে, সেটাই বিশ্বাস করতে হবে!!