কুৎসিৎ কাণ্ড! করোনা বিশ্ব মহামারির পরিস্থিতিতেও চিরাচরিত প্রথা মেনে চিনে শুরু হয়েছে কুকুরের মাংস খাওয়ার বার্ষিক উৎসব। রবিবার থেকে শুরু হওয়া উৎসব চলবে টানা দশদিন অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত। উৎসবে রান্না করা কুকুরের মাংস ও কাঁচা মাংস ছাড়াও জ্যান্ত কুকুর বিক্রি হচ্ছে। চিনের পশুপ্রেমীদের দাবি, এই বছরই হয়তো শেষবারের মত এই উৎসব চলছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি কুকুর ও বিড়াল চিনের এই উৎসব উপলক্ষ্যে নিধন করা হবে। পশুপ্রেমীরা এই উৎসবটি বন্ধ করার দাবিতে ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। প্রসঙ্গত, চিন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ ৫০০ বছর ধরে ঐতিহ্যগতভাবে কুকুরের মাংস খেয়ে আসছে। প্রতি বছর মানুষের ব্যবহারের জন্য অন্তত ১ কোটি কুকুর মারা হয়ে থাকে।
চিনের দক্ষিণ পশ্চিম শানঝি প্রদেশের ইউলিন শহরে এই উৎসবে সাধারণত হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে করোনা সংকটের জন্য এবছর জনসমাগম কম। চিন সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী, দেশে বণ্যপ্রাণীর সুরক্ষার জন্য কুকুর ও বাদুড় বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই শুরু হয়েছে কুকুর নিধনের মহাযজ্ঞ। গত কয়েক বছর ধরে ইউলিনের এই উৎসবের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন পশুপ্রেমীরা। চিনের হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল নামে এক পশুপ্রেমী সংগঠনের বিশেষজ্ঞ পিটার লি জানিয়েছেন, উৎসবের নামে ভিড়ে ঠাসা বাজার ও রেস্তোরাঁয় কুকুরের মাংস বিক্রির আয়োজন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক থেকেও বড় বিপদ।