রাজ্যে বকেয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভাগ্য কিছুটা হলেও নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টে উপর৷ CBSE-র বাকি পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায়ের দিকেই তাকিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন।
তবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না শিক্ষা সংসদ। বাকি তিনটি পরীক্ষার জন্য একটি ক্লাসঘরে কতজন করে পরীক্ষার্থী বসবে এবং কতজন শিক্ষক-ই বা গার্ড দেবেন, তা সেই বিদ্যালয়ের সুপারভাইজারই ঠিক করবেন৷ বাকি থাকা পরীক্ষাগুলিতে খুব বেশি পড়ুয়া হবে না বলেই খবর। ২ জুলাই যে পরীক্ষা হওয়ার কথা, তাতে সাড়ে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী রয়েছে। বাকি দু’দিন, ৬ এবং ৮ জুলাই, ২ লক্ষ করে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে৷ পরীক্ষার জন্য ২২০০ সেন্টার ঠিক করা হয়েছে। পরীক্ষার আগে প্রতিটি সেন্টারকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে ২০০ থেকে ২২৫ জনের বেশি পরীক্ষার্থী রাখতে চাইছে না সংসদ। বড় স্কুলেই পরীক্ষা হবে, কারন সেখানে অনেক ক্লাসরুম।
পাশাপাশি, যদি পরীক্ষা না-হয়, সে ক্ষেত্রে নম্বর কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রস্তাব জমা পড়ছে সংসদে। সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, প্রজেক্টের নম্বর বাড়িয়ে, হাজিরার উপর ২০ শতাংশ এবং যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে, তার প্রাপ্ত নম্বরের ২০ শতাংশ নিয়ে বাকি বিষয়ের নম্বর দেওয়া হোক।