সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, করোনা আবহে এবার আর নয় জগন্নাথের রথযাত্রা। কিন্তু রথযাত্রা ফিরিয়ে আনতে একটি নয়, সাতখানা পিটিশন দাখিল করা হল সুপ্রিম কোর্টে। আগামিকাল সকাল এগারোটায় শুনানি। সেই রায়ের দিকেই এখন তাকিয়ে এখন জগন্নাথ ভক্তরা। একই সঙ্গে পুরীর গজপতি মহারাজ দিব্যসিংঘ দেব মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে রথযাত্রা করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন।

সাত পিটিশনের প্রথম পিটিশনটি মুসলিম যুবক আলতাফ হুসেনের। দ্বিতীয় পিটিশন জগন্নাথ সংস্কৃতি জনজাগরণ মঞ্চের, তৃতীয়টি শ্রীমন্দির ছত্তিসা নিয়োগের মুখ্য পোটোদোশী মহাপাত্রর, চতুর্থ পিটিশন শ্রীমন্দিরের দ্বৈতাপতি নিয়োগের সম্পাদক দুর্গাদাস মহাপাত্র, পঞ্চমটি রাষ্ট্রীয় হিন্দু মহাসভার, ষষ্ঠ পিটিশন কটকের বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার কিনারার এবং সপ্তম পিটিশন নোয়াগড়ের বাসিন্দা বোজন কুমার পাইকারার। সকলেরই আর্জি অনুমতি দেওয়া হোক রথযাত্রার। তাঁরা মানবেন সব ধরণের সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ।
বছরে এই সময়ে শ্রীজগন্নাথ ভাই ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে রত্ন সিংহাসন থেকে নেমে পুরী বরোদান্তে ভক্তজনের কাছে চলে আসেন। রথে বসে যান গুন্ডিচা মন্দিরে। রথে বসেই কোটি কোটি ভক্তদের দর্শন দেন। ভগবান ও ভক্ত একদেহে লীন হয়ে যান। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই তাঁর কাছে সমান। কোটি কোটি মানুষের মুখে স্লোগান ওঠে জয় জগন্নাথ। আশা আশঙ্কার দোলায় জগন্নাথ ভক্তরা।