চাকরি সাব- ইন্সপেক্টরের, বিদেশ থেকে বার্মা টিক উড়িয়ে এনে তৈরি করিয়েছেন আসবাব

0
1

চাকরি পুলিশের সাব- ইন্সপেক্টরের৷ নাম অনুপ পাল৷ ছোট মাপের এক ঘুষ-কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন৷ তদন্ত শুরু করার পর ওই অনুপ পালের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে ঘুষ নেওয়ার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের ACB বা দুর্নীতি দমন শাখা৷ তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ ACB অফিসারদের৷ অনুপবাবু মাস মাইনে যা পান, তাতে বিদেশ থেকে বার্মা টিক উড উড়িয়ে এনে ড্রেসিং টেবিল, খাট-পালঙ্ক কিংবা ওয়ারড্রোব বানানো সম্ভব নয়। কিন্তু তদন্তে তেমন তথ্যপ্রমানই পাওয়া গিয়েছে৷

বছর দুয়েক আগে ভয়াবহ এক ডাকাতি হয় রানাঘাটের এক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। ওই সময় অনুপবাবু সেখানেই কর্মরত ছিলেন। তাঁকেই দেওয়া হয়েছিলো ডাকাতির তদন্তভার। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশিতে নেমে এক সন্দেহজনক ব্যাক্তিকে ডেকে পাঠান অনুপ। অভিযোগ, সেই সন্দেহভাজনকে বলা হয়, ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে। বাঁচতে হলে টাকা দিতে হবে। এই হুমকিতেও কিন্তু ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়েননি। চলে যান দুর্নীতি দমন শাখায়। লিখিত অভিযোগ জানান৷ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পাকড়াও করা হয় অনুপবাবু ও তাঁর এক সহযোগীকে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু হয়। তদন্তের পর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এসিবি।

সূত্রের খবর, চার্জশিটে বলা হয়েছে, অনুপবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নগদ ১১ লক্ষ টাকা। বেনামে থাকা আরও পাঁচটি সম্পত্তির হদিশ মেলে। মিলেছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য৷ এসব নাকি কিছুই নয়, তদন্তকারীরাই বিস্মিত হয়েছেন, অনুপের বাড়ির আসবাবপত্র দেখে। সেগুলি পরীক্ষা করনো হয় বিশেষজ্ঞদের এনে। ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রব, খাট সহ বিভিন্ন সামগ্রী পরীক্ষা করেন তাঁরা। বাড়ির ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে ব্যবহার হয়েছে বার্মা টিক উড। সেই কাঠ আনানো হয়েছে বিদেশ থেকে৷ এক একটি আসবাব তৈরি করতে খরচ পড়েছে আট থেকে দশ লাখ।

অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ পালের কীর্তিতে মাথা ঘুরে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের ৷