করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কয়লাখনিতে খনন-উত্তোলনের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের কথা জানিয়েছিলেন। সেই সূচি মতোই বৃহস্পতিবার, কয়লাখনিগুলিতে খননের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর জন্য দ্বিস্তরীয় নিলাম প্রক্রিয়ার সূচনা করেন তিনি। এটি পদক্ষেপ আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক বড় পদক্ষেপ বলে এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে বহু বছর ধরে কয়লাখনিগুলিতে চলা লকডাউন কাটবে। দেশে কয়লার বাজার সবার জন্য খোলা হল। সব ক্ষেত্রকে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের ফলে কয়লাখনির ক্ষেত্রে অর্থ ও প্রযুক্তির বিনিয়োগ ঘটবে বলেই আশা মোদির।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ৪১ টি কয়লাখনিকে নিলামে তোলা হবে। মোদি বলেন, “কয়লাখনির থেকেই হিরে খুঁজে আনতে হবে আমাদের। আমাদের স্বপ্ন একদিন সফল হবে”। এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের পরিসর বাড়বে। ফলে বেসরকারি কোম্পানিগুলি নতুন বাজার পাবে। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
এদিন ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমাদের আত্মনির্ভর হতে শিখিয়েছে। আর প্রথম ধাপ হিসেবে বিদেশি আমদানির পরিমাণ কমাতে হবে।
দশকের পর দশক ধরে ভারতের কয়লাখনিগুলিতে লকডাউন চলেছে বলে এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জ্বালানি শক্তির সঠিক ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। বড় পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই নিলামের ফলে বাজার তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব কমাতে এবং আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে অন্তত ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রীর।






























































































































