লাদাখের সংঘর্ষের প্রভাব চন্দননগরেও! অন্ধকার আলোকশিল্পের ভবিষ্যৎ

0
1

লাদাখের ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের প্রভাব পড়ল চন্দননগরে। লকডাউনের জেরে এমনিতেই রোজগারে ভাটা পড়েছে আলোকশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ১২ হাজার কর্মীদের। এবার দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতিতে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে তাঁদের।

প্রায় আড়াইশো বছর আগে ফরাসিদের হাত ধরে চন্দননগরের  আলোকশিল্প আসে। তখন ফ্রান্স থেকে আনা গ্যাসের আলো। জগদ্ধাত্রী পুজোতে ব্যবহার হত। সময়ের সঙ্গে বদল হতে শুরু করে প্রযুক্তি। গ্যাসের আলোর জায়গায় এল বিদ্যুতের ব্লাভের মালা। এক দশকের বেশি সময় ধরে “এল ই ডি” আলোর ব্যবহার হচ্ছে। চন্দননগরের আলোকশিল্পের সব কাঁচামাল আসে চিন থেকে।

আলোকশিল্পে অশনি সংকেত এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষভাবে ১২ হাজার কর্মী এবং পরোক্ষভাবে গোটা হুগলি জুড়ে ৫০ হাজার কর্মী। লকডাউনে সাতমাস ধরে আলো শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বন্ধ। করোনার আঁতুড়ঘর চিন । বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর জন্য চিনকে সরাসরি দায়ী করছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল বর্তমানে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি। উত্তপ্ত সীমান্ত । যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। এই পরিস্থিতিতে আলোর আঁতুড়ঘরে নেমে আসতে চলেছে অন্ধকার ।