করোনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই চিনের এই আগ্রাসন, মন্তব্য কর্নেল সব্যসাচী বাগচীর

0
2

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় 

গত দেড় মাস ধরে শিরোনামে উঠে আসছে ভারত-চিন সংঘাত। প্রাক্তন কর্নেল সব্যসাচী বাগচী মনে করছেন, চিনের এই ধরনের কার্যকলাপ একেবারেই স্বাভাবিক । প্রাক্তন এই কর্নেল বলেন, কোভিডের জন্য সবার নজর চিনের দিকে। পৃথিবীর ৬০-৬৫ টা দেশ একত্রিত হয়ে বলছে যে, কোভিডের জন্ম চিনের ল্যাবরেটরি থেকেই। এমনকি অনেক দেশই চিন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। কোনও কোনও দেশ সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, জিনজিয়াংয়ের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, ফলে চিনের অন্দরেও সমস্যা জারি থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কর্নেল সব্যসাচী। তাঁর মতে, সব মিলিয়ে চিন আজ কোণঠাসা ।
প্রাক্তন কর্নেলের মতে, এসব থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্যই চিনের এই সেনা সংঘর্ষের প্রয়োজন ছিল। তাঁর মতে, চিনের এই আগ্রাসন ভারতকে মানসিক চাপ দেওয়ার জন্য । চিনকে যে না চিনেছে সে মুর্খের স্বর্গে বাস করছে । ভারতকে কার্যত উত্যক্ত করার চেষ্টা করছে চিন, যাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারত কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়।
তিনি জানিয়েছেন , বছরে অন্তত ১০০-১৫০ বার চিন ভারতের দিকে সেনা অনুপ্রবেশ করায়।
গলোয়ান ভ্যালি ও প্যাংগং লেক এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যেখানে যে পক্ষ দখল করবে, তারা কিছুটা সুবিধা পাবে। তাই চিনের নজর এই দুটি জায়গার উপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রায় ৫৩ বছর পর ভারত এবং চিনের প্রকৃত রেখার মধ্যে ফের সংঘর্ষ।

কর্নেল সব্যসাচীবাবুর মতে, করোনা নিয়ে তদন্ত খুব শীঘ্রই শুরু হবে, সেটা নিয়ে ভারত উৎসাহ দিতে পারে ভালো করে তদন্ত করার জন্য। এটা চিনের আপত্তির বড় কারণ। রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিনের বিরুদ্ধে নালিশ করতে পারে ভারত। ওখানে অনেক দেশ আছে যারা চিনকে পছন্দ করে না। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান আর ভারত এরা অনায়াসে চিনকে চাপের মুখে রাখতে পারে। তাই করোনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই চিনের এই পদক্ষেপ ।