সোশ্যাল মিডিয়ায় একশ্রেণীর মানুষ আছেন, যাদের “চোখে আঙুল দাদা” বলা যায়। হাতে ফোন থাকার সুবাদে এঁরা যত্রতত্র খোঁচা মেরে নিজেদের বীর ভাবেন। অথচ এঁদের নিজস্ব পোস্টে কোনো ইতিবাচক কাজ দেখা যায় না। লোকের পোস্টে ঢুকে জেনে বা না জেনে নিন্দে করা এদের একমাত্র কাজ। বিশেষত এই শ্রেণীর জন্য আমরা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের আজকের একটি ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরছি। কুণাল ঘোষ, সজল ঘোষ বা এইরকম অনেক মানুষ দীর্ঘকাল ধরে সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো বিতর্কই কুণালের এই কাজ কাড়তে পারেনি। দেখুন, এঁরা কীভাবে উত্তরবঙ্গের এক বিপন্ন শিশুকে কলকাতায় এনে সারিয়ে তুলছেন। এইজন্যেই কুৎসায় কান না দিয়ে মানুষ এঁদের ভালোবাসেন। নিন্দুকরা শুধু লোকের পিছনে না লেগে এমন দুএকটা কাজ করলে সমাজের উপকার হয়।
কুণাল ঘোষ পোস্টে লিখেছেন-
পূজা ভালো আছে; ভালো থাকুক।
বছর দুই আগের কথা।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ সংবাদপত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়াসূত্রে জানতে পারলাম, ফালাকাটার এক দরিদ্র দম্পতির শিশুকন্যা পূজার এক ভয়ঙ্কর টিউমার হয়েছে। বিপজ্জনক পরিণতির দিকে এগোচ্ছে সেটি। জটিল চিকিৎসা, সরকারি হাসপাতালে সুরাহা নেই। দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে অসহায় দম্পতি।
কথা বললাম কলকাতার জে এন রায় হাসপাতালের দুই পরিচালক সজল ঘোষ ও শুভ্রাংশু ভক্তর সঙ্গে।
হাসপাতাল নজিরবিহীনভাবে বিনাখরচে অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব নিল।
পূজাকে নিয়ে বাবা মা এলো কলকাতা। খুঁজে পেতে ও যোগাযোগে সাহায্য করল রাতুল বিশ্বাস আর আরও কয়েকজন। দেখা গেল এতো বড় টিউমার, এইটুকু বাচ্চাকে দীর্ঘসময় অজ্ঞান করে বড় অস্ত্রোপচার অসম্ভব। ফলে স্ক্লেরোথেরাপি এবং একাধিক অস্ত্রোপচার। শিশু রইল হাসপাতালে। সঙ্গে মা। এবং বাবাকেও রাখতেই হল এখানে। যাবে কোথায়?
অবশেষে টিউমার গেল। বিষ কাটল শরীরের। পূজা সুস্থ হল।
জে এন রায় হাসপাতালকে আবারও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আরও কিছু দরদীকে যাঁরা এসে ওই দম্পতিকে সাহায্য করে গিয়েছেন, ফেরার পর যে তহবিল কাজে লেগেছে।
তারপর থেকে চেক আপে কলকাতায় এলে খবর পাঠায় ওরা। পূজাকে দেখে ভালো লাগে। উত্তরবঙ্গের ফালাকাটার থেকেও মাঝে মাঝে ফোন করে রমেশ, খবর দেয়।

সেই চিকিৎসার দুবছর হল।
ফালাকাটা থেকেই পূজার আজকের ছবি পাঠালো রমেশ।
পূজা খুব ভালো থাকুক।





























































































































