১৬ বছরে মাকে হারিয়ে খুঁজে বেড়াতেন, এবার মিলবেন দু’জনে!

0
1

চার লাইনের একটা পোস্ট। কী লেখা… বাংলায় তর্জমা করলে এইরকম দাঁড়ায়… “অশ্রুস্রোত থেকে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে আবছা অতীত/হাসিতে ধরা দিচ্ছে অন্তহীন স্বপ্নরা/আরও একটি ক্ষণস্থায়ী জীবন/ মধ্যস্থতা করছে দুজনের মধ্যে”…

এক সপ্তাহ আগে সুশান্ত সিং রাজপুত মাকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে করেছিলেন পোস্ট। মায়ের সাদা কালো ছবি, পাশে নিজের… আর লেখার একেবারে শেষে ‘মা’। সেটা ইংরেজিতে নয়, হিন্দিতে। কম বয়সে মাকে হারানোর ব্যথা তাড়িয়ে বেড়াতে সুশান্তকে। ২০০২ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় সুশান্তর বয়স মাত্র ১৬। ফলে জীবনের বাকি ১৮টা বসন্ত হাতড়ে বেরিয়েছেন মায়ের স্মৃতিকে। কোনও সাফল্যই তাঁকে মায়ের স্মৃতি ভুলতে দেয়নি। এমনকী ধোনির বায়োপিক ছবির সাফল্যের পরেও বলেছিলেন, মা এই সাফল্য দেখতে পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম।

মনোবিদরা বলছেন, অল্পবয়সে যাঁরা মাকে হারান, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই সৃজনশীল হন। সাফল্য বা বিপর্যয় এলে তারা মায়ের নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। এই যে শেষ ছবি ‘ছিচোড়ে’ খুব একটা সাফল্য পেল না বা লকডাউনের সময়ে প্রায় আড়াই মাস ধরে কর্মহীন, হতাশার সময় বোধহয় কোথাও একটা স্নেহের পরশ, একটা মানসিক সেফ কাস্টডি খুঁজছিলেন। যা বন্ধু বা বান্ধবীরা দিতে পারেননি। তাই এক সপ্তাহ আগে বারবার মায়ের কাছে ফিরে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে অবসাদের অসুস্থতা। এই কারণগুলো কি শেষ করে দিয়েছিল অভিনেতাকে? ‘ধোনি,দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ মুক্তির ঠিক আগে তিনি বারবার বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকলে আমাকে নিয়ে সত্যিই খুব গর্ব হতো মায়ের। সম্ভবত আমি এখন যা করছি তার চেয়ে আলাদা লোক হতে পারতাম। মায়ের মৃত্যু আমাকে আমুল পাল্টে দিয়েছে। আগে অল্প কিছুতেই মেজাজ হারাতাম। কিন্তু এখন সাফল্য-ব্যর্থতা কোনও কিছুতেই আমি উত্তেজিত হই না। মা বেঁচে থাকলে হয়তো এমনটা হতো না!’ ইনস্টাগ্রামে সেই ইঙ্গিত দিয়েই কী মায়ের কাছে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন!