শাসক দলের কর্মী হওয়া সত্ত্বেও ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেনি কেউ। এমনই অভিযোগ এ রাজ্যের বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের। তাই তৃণমূল ছেড়ে তাঁরা সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। শাসকদল জানিয়েছে, ওরা আসার কথা জানতে পেরে গোটা প্রশাসনিকস্তরকে জানানো হয়েছিল। যাতে কোথাও কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যে যার রাজনীতি করতে পারে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই ঘটনা খেজুরির।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শেখ হানিফ-সহ খেজুরি-১ ব্লকের নীচ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেইদিনগরের জনা ছয়েক যুবক কেরলে হোটেলের কাজ করতে গিয়েছিলেন। লকডাউনে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘ট্রেন চলছে ভেবে কেরল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ভেলোরে এক সপ্তাহের বেশি আটকে গিয়েছিলাম। ঘরের কাছের তৃণমূলের স্থানীয় নেতা এবং বিধায়কদের ফোন করেছি। কিন্তু কোনও সাহায্য মেলেনি। পরে এলাকার এক সিপিএম নেতার মাধ্যমে কথাবার্তা হয়। তাঁরা হোটেলে থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পরে সিপিএম নেতাদের সুপারিশে গত ১২ মে বাড়িতে ফিরেছি।’’
সেখান থেকে ফিরে কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার সময় আমফানের দাপটে বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে তখনও সাহায্য করেননি শাসকদলের কেউ, এমনই অভিযোগ ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, তখনও সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছে সিপিএম।
হানিফ কেন সিপিএমে যোগ দিলেন? এই প্রসঙ্গে ওই যুবক জানিয়েছেন, ‘‘দুর্দিনে দলকে পাশে পাইনি। তাছাড়া এলাকায় ওঁরা উন্নয়নের নামে স্বজনপোষণ করছেন। ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করছে। তাই বাধ্য হয়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই সিপিএমে আমরা যোগ দিয়েছি।’’
তাদের সিপিএমে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ওই এলাকার বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমাদের দলে থাকার ওঁদের সুবাদে সব কিছুই পাওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই অন্য দলের ব্যানারে গিয়ে এবার যাতে আরও কিছু পেতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। খেজুরি বিধানসভা এলাকায় ছ’হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে আমরাই দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি ফিরিয়েছি।’’