দেশে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে৷ ক্রমশই কেন্দ্রের কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে । উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারগুলোও। দুই সরকারই বুঝছে, কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা না গেলে এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন৷
ওদিকে দেশের সাধারণ মানুষের চলাচলে বাস-ট্রামই একমাত্র ভরসা৷ সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক মনে করছে, দেশের মানুষের প্রতিদিনের চলাচল সাইকেল-নির্ভর হোক। দুই চাকার এই যানে একদিকে যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে, তেমনই এটি খরচসাপেক্ষও নয়। তাই কেন্দ্রের তরফে দেশের সব রাজ্য সরকারকে সাইকেল ব্যবহারের জন্যে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যেই বাড়ছে সাইকেল নির্ভরতা। কারণ একে অপরের থেকে শারীরিক দূরত্ব যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরামর্শ মানতে হলে একমাত্র উপায় হল ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার। সবদিক বিবেচনা করে তাই পকেট-ফ্রেণ্ডলি সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোরই পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলিকে সাইকেলের ব্যবহারে আমজনতাকে আগ্রহী করে তোলার জন্যে বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ঝরেছে তারা। উদাহরন হিসাবে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুধুমাত্র সাইকেল চলাচল করার জন্যে নতুন ৪০ কিমি রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে। অকল্যান্ড ১০ শতাংশ রাস্তায় সাইকেল ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কলম্বিয়ার বোগোটায় অতিরিক্ত ৭৬ কিলোমিটার পথ খুলে দেওয়া হয়েছে শুধুই সাইকেল চলাচল করার জন্য৷
কেন্দ্রের পরামর্শে বলা হয়েছে, “সাধারণত শহরাঞ্চলের মানুষজনকে কাজের প্রয়োজনে গড়ে ৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যাতায়াত করতে হয়। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও বেশি করে সাইকেলের মতো যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো উচিত। কারণ এখন যতটা কম খরচে মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয় সেটার দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। সাইকেল চালানো সহজ এবং এটি পরিবেশ বান্ধব৷ তাই যত বেশি সম্ভব মানুষ সাইকেলকেই যাতায়াতের মাধ্যম করুন”।































































































































