চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ শনিবার থেকে খুলে গেল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা। মা ভবতারিণীর পুজো দিতে ভোর থেকেই এসেছিলেন ভক্তরা । সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়ান ভক্তরা। মোতায়েন ছিল বহু পুলিশকর্মী।
প্রত্যেককেই প্রথমে থার্মাল স্ক্রিনিং এর পর স্যানিটাইজেশন টানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে । তারপরই মিলেছে মায়ের দর্শনের ছাড়পত্র । গত ২১ মার্চ করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির। টানা ৮২ দিন পর এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হল।
শনিবার থেকে সেখানে ভক্তরা প্রবেশ করলেও, তাদের জন্য ছিল বেশ কিছু শর্ত। আপাতত সকাল সাতটা থেকে দশটা ও বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সাড়ে ছটা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। ভক্তরা পুজোতে কোনও ফুল দিতে পারছেন না। কোনও সিঁদুর, চরণামৃত দেওয়া হচ্ছে না। গর্ভগৃহের ৬ ফুট দূর থেকে মা ভবতারিণী কে দর্শন করতে হচ্ছে । মোট ১০ জন করে পুজো দিতে পারছেন।করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে ভক্তদের। মাস্ক পরতেই হচ্ছে ।
পুজো দেওয়ার পর পঞ্চবটী, নহবত কোথাও ভক্তদের যাওয়ার অনুমতি নেই । মন্দিরের ভেতরের ব্যাপার কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তারক্ষীরা দেখছেন । বাইরে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।
মন্দির ট্রাস্টির সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, সকাল ও বিকালে তিন ঘণ্টা করে ৬ ঘণ্টা ভক্তদের জন্য মন্দির খোলা হবে। পুজোয় কোনও ফুল ব্যবহার হবে না। কাউকে ফুল দেওয়া হবে না। এই নিয়মবিধি মানা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না। লকডাউন শিথিল হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আলোচনা করে ঘোষণা করা হবে।