একদিকে করোনার জেরে লকডাউন, আর তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া আমফানের তাণ্ডব। এই তাণ্ডবে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, মৌসুনি আইল্যান্ড, নামখানা, ঘোড়ামারি, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ফ্রেজারগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা। শুধুমাত্র একের পর এক গাছই পড়েনি, বাড়ি থেকে দোকান ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে । সাগরে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে ঝড়ের দাপটে একের পর এক দোকান ঘর মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে । মাথার ছাদ হারিয়ে রীতিমতো দিশাহারা অসহায় মানুষগুলি। মাথার ওপর ছাদের বদলে তাদের দিন কাটছে প্লাস্টিকের ত্রিপলের তলায়।সাহায্যের আশায় পথ চেয়ে বসে থাকলেও, রাজনীতির যাঁতাকলে পড়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ আজও পৌঁছায়নি সহায়সম্বলহীন অসহায় মানুষগুলির কাছে। প্রায় অধিকাংশ অঞ্চলে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ এসেছে তাও আবার ঘন্টাখানেকের বেশি থাকছে না। এর পাশাপাশি টান পড়েছে জীবিকাতেও। আশ্রম বন্ধ থাকায় এতদিন বিক্রিবাটা হয়নি। তারপর আমফান। যেটুকু বেঁচে থাকার মত সম্বল ছিল সেগুলোও এখন আর নেই। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে সব। এমনকি মৎস ধরার ও ছাড়পত্র মেলেনি এখনো। এমন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হাজার খানেক মানুষ।
সম্প্রতি গঙ্গাসাগরের এই অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্যে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন, সুদীপ চক্রবর্তী(AC & OC ,National Medical College outpost) প্রমুখ। ত্রাণ হিসাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি বেশ কিছু ওষুধ বিলি করা হয়। প্রায় শ’পাঁচেক মানুষ এই সাহায্য পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। ওদের দুর্দশা মনে গভীর দাগ কেটেছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানুষগুলিরও। কামাল হোসেন বলেন, প্রকৃতির তাণ্ডবের কাছে মানুষ কত অসহায় তা এদের না দেখলে মালুম পাওয়া যাবে না। ভবিষ্যতেও আমরা সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।
সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির। রীতিমতো স্যানিটাইজ করে চলছে মন্দিরের পুজো। মানা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। আমফানে এলাকায় তান্ডব হলেও পুরো মন্দির চত্বর পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই সুযোগে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে। এলাকায় লোকজনের সমাগম কম হওয়ায় নোংরা নেই বললেই চলে। এছাড়াও জলে সব ধুয়েমুছে সাফ। গঙ্গার জলও ঝকঝকে, পরিস্কার। এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন, আকাশের এত সুন্দর সৌন্দর্য এর আগে কখনও দেখা যায়নি।































































































































