সঙ্কটজনক করোনা আক্রান্তের শরীরে প্লাজমা প্রদান শুরু বাংলা থেকেই

0
1

করোনা আক্রান্তের শরীরে প্লাজমা প্রদান শুরু হলো পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। আর তা যদি তা সফল তবে সূচনা হবে নতুন এক ইতিহাসের।

বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে বছর ৪৫-এর এক মহিলার শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে প্লাজমা। তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ওই মহিলা একটি প্রাইভেট নার্সিং হোম-এর নার্স। একইভাবে বছর ৫০-এর এক পুরুষের শরীরেও এদিন প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনিও একজন গ্রুপ ডি স্বাস্থ্যকর্মী।

যা পূর্ব ভারতের ইতিহাসে সর্বপ্রথম। যদি এই প্লাজমা প্রয়োগের ফলে করোনা আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগী ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, তাহলে চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা করবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা কোনও ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা বা রক্তরস বার করে তা দিয়ে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করার নামই প্লাজমা থেরাপি। কিছুদিন আগেই সেই প্লাজমা সংরক্ষণের কাজ শুরু করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ। এবার তা প্রয়োগ করা হল।

পূর্ব ভারতের প্রথম প্লাজমাদাতা হলেন হাবরার তরুণী মনামী বিশ্বাস। তিনি ছিলেন এ রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত।

বিশষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি আদতে একটি পরোক্ষ অ্যান্টিবডি থেরাপি, যাতে কোভিড ১৯ রোগের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এমন অ্যান্টিবডি একজন কোভিড ১৯ পজিটিভ রোগীর শরীরে, সেই রোগটি প্রতিকার এবং নির্মূল করার জন্য প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যান্টিবডি শুধুমাত্র একজন কোভিড ১৯ আক্রান্ত এবং পরে রোগমুক্ত হওয়া মানুষের প্লাজমা থেকেই পাওয়া যায়।