লকডাউন: পর্যটকহীন হাজারদুয়ারিতে সমস্যায় টাঙ্গাচালকরা

0
2

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের শহর মুর্শিদাবাদ। একসময় বাংলা বিহার ওড়িষার রাজধানীও ছিল। মুর্শিদাবাদের সেই প্রাণকেন্দ্র হাজারদুয়ারি প্যালেস আজ নিস্তব্ধ। রয়েছে ইমামবাড়া ক্লক টাওয়ার। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। একসময় এটা বড়কুঠি নামেই পরিচিত। সারা বছরই সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তাকে ঘিরে চলে অনেকের জীবিকা। কিন্তু লকডাউনে থমকে ইতিহাসের এই শহর।

মুর্শিদাবাদের ‘ছোটে নবাব’ সৈয়দ রেজা আলি মির্জা অবশ্য সবাইকে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, জীবন থাকলে তবেই জীবিকা থাকবে। থাকবে ধর্ম, পুজো, নমাজ। কিন্তু জীবনে যদি না থাকে, তাহলে হাজারদুয়ারির কোনও অর্থ নেই। সুতরাং এখন সংক্রমণ রুখতে সবাইকে বাড়িতেই থাকার আবেদন করেছেন মুর্শিদাবাদের এখনকার ছোটে নবাব।


কিন্তু পেট বড় বালাই। নিজেদেরই খাবার জুটছে না। এই পরিস্থিতিতে পোষ্যর মুখে খাবাল তুলে দেবেন কী করে? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে টাঙ্গাচালকদের। মুর্শিদাবাদ বিশেষ করে হাজারদুয়ারি দেখতে গিয়ে অনেকেই পছন্দ করেন টাঙ্গা সফর।

 

কিন্তু লকডাউনে বন্ধ পর্যটন। আর্থিক সাহায্য বলতে মিলেছে রেশনের চাল, ডাল। কিন্তু টাঙ্গাচালকদের ঘোড়া প্রতিপালনের জন্য আলাদা করে কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে কী খেতে দেবেন ঘোড়াগুলিকে? আবার ঘোড়াগুলিকে ছেড়েও দেওয়া যায় না। তাহলে তারা শহরময় ঘুরে স্থানীয়দের উপদ্রব করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন তা নিয়ে আতান্তরে টাঙ্গাচালকরা। সরকার যদি তাঁদের ঘোড়া বাবদ কিছু বরাদ্দ করেন এখন সেই আশায় রয়েছেন তাঁরা। আর হাজার দুয়ার খুলে পর্যটকদের আসার দিন গুনছে হাজারদুয়ারি প্যালেস।