‘বাংলার যুবশক্তি’: অভিষেকের বেনজির প্রকল্পের সূচনাতেই তুমুল সাড়া

0
2

করোনা ও আমফানের জোড়া ফলায় বিদ্ধ বাংলা৷ রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে৷

রাজ্যের এই সঙ্কটকালে বাংলার যুবসমাজকে একত্রিত করে মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে ইদানিং কালের বৃহত্তম উদ্যোগ নিলেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় ও রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ১ লক্ষ ২৫ হাজার যুবক-যুবতীকে রাজ্যবাসীর সুখে-দুঃখে সামিল করার লক্ষ্যে ‘বাংলার যুবশক্তি’ নামে এক নজিরবিহীন প্রকল্প সামনে আনলেন অভিষেক৷ বৃহস্পতিবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করেছে ‘বাংলার যুবশক্তি’৷ সূচনালগ্নেই রাজ্যজুড়ে তুমুল সাড়া৷ রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশেই এই ধরনেই কোনও উদ্যোগ নজিরবিহীন৷

‘কল্পতরু’ প্রকল্পের বেনজির সাফল্যের পর তৃণমূল যুব সভাপতির ‘বাংলার যুবশক্তি’ প্রকল্পও রাজ্য তথা দেশজুড়ে সাড়া ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল৷ অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘বাংলার যুবশক্তি’ নিয়ে তুমুল সাড়া পড়েছে৷ নজিরবিহীন এই প্রকল্প কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলকে৷
সাধারন মানুষেরও স্থির বিশ্বাস, রাজ্যবাসীকে নতুন দিশা দেখাবে অভিষেকের নেতৃত্বাধীন ‘বাংলার যুবশক্তি’। প্রকল্পটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হলেও সম্পূর্ণভাবে এটি অরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই পরিচালিত হবে৷ এর সদস্যরা কাজ করবেন রাজ্যজুড়ে৷ আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যস্তর থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রকল্পের সদস্য সংখ্যা ১.২৫ লক্ষ করার টার্গেট করা হয়েছে৷ এই ১.২৫ লক্ষ সদস্যের প্রত্যেকে বাংলার ১০টি করে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন। এবং সেই সব পরিবারের যে কোনও সমস্যার সমাধানে মুশকিল আসানের ভূমিকা নেবে। ১১ জুলাইয়ের পর এই লক্ষাধিক সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হবে৷ আগামীদিনে সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, তা আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

‘বাংলার যুবশক্তি’-র ১.২৫ লক্ষ যুবকর্মী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জনপরিষেবা পৌঁছে দেবে। খাদ্য-শিক্ষা-সহ যে কোনও ধরনের অসুবিধায় মানুষকে সাহায্য করবে অভিষেকের এই যুব বাহিনী। এই প্রকল্পের একটি লোগো প্রকাশ করা হয়েছে। চালু হয়েছে www.banglaryubashakti.in
ওয়েবসাইট৷

পুরোদস্তুর কর্পোরেট সংস্কৃতিতে সাজানো হয়েছে ‘বাংলার যুবশক্তি’-র নেটওয়ার্ক৷ এর একমাত্র কারন, বাংলার সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবামূলক কাজ চালানোর ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত কোনও সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয়৷ গোটা রাজ্যে নিখুঁতভাবে পৌঁছে দিতে একাধিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে৷ ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুক্ত করা হচ্ছে এই প্রকল্পে৷ পুরো রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। জোন পিছু দায়িত্বে থাকছেন দু’জন। ১০ জন থাকবেন কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে৷ থাকছে প্রায় ৯০- ৯৫ জন স্টেট-কোঅর্ডিনেটর।
জেলা কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য থাকবেন ১০ থেকে ১৫ জন। এক-একজন ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্যকে দুটি বা তিনটি ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ এরা প্রতি ব্লক ও শহরে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের অরাজনৈতিক, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং সমাজসেবায় আগ্রহী আছে, এমন ৫ জন করে যুবকে চিহ্নিত করবেন৷ তাঁদের নাম পাঠিয়ে দেবেন রাজ্যস্তরে৷ ব্লকস্তরে যে সমস্ত যুবক-যুবতী কাজ করবেন, তাঁদের বলা হবে ‘যুবযোদ্ধা’। এক- একজন যুবযোদ্ধা ১০টি করে পরিবারের দায়িত্ব নেবেন। এদের সবার ওপর নজর রাখবে প্রশান্ত কিশোরের টিম। যারা যোগদান করবেন তাঁদের প্রকল্পের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্ত করা হবে৷ তখনই এদের একটি করে রেফারেল লিঙ্ক দেওয়া হবে। ১১ জুলাইয়ে পর এদের নিয়েই একটি ভার্চুয়াল সভা হবে।

বিপন্ন মানুষের ঘরের দরজায় পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে মুশকিল আসানের কাজ করবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ‘বাংলার যুবশক্তি’৷ যুব তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এবিষয়ে বিশদে ব্যাখ্যাও করেছেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় ও রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

◾ দুটি স্তরের পরিকাঠামোর জন্য কমিটি গঠন হয়েছে।

◾১০ জন সদস্যের রাজ্য কমিটি এবং ২৯৫ সদস্যের ২৩ জেলা কমিটি।

◾পরবর্তীতে জেলাভিত্তিক ২৩টি ফিল্ড কমিটি৷ এই কমিটিতে মোট ২৫০০ সদস্য থাকবে।

◾’বাংলার যুবশক্তি’ ওয়েবসাইটে ১ লক্ষ ২৫ হাজার যুবক-যুবতীকে “যুবযোদ্ধা” হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে৷

◾’বাংলার যুবশক্তি’-র জন্য তৈরি হবে বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ৷ এই গ্রুপে যুবযোদ্ধা’রা যুক্ত থাকবেন।

◾১১ জুলাই নাগাদ যুবযোদ্ধাদের ভবিষ্যতের কার্যক্রম জানানোর জন্য একটি মেগা ভার্চুয়াল সেশনের আয়োজন করা হবে।

◾প্রতিটি ফিল্ড কমিটির সদস্যকে ইউনিক রেফারেল লিঙ্ক দেওয়া হবে৷ সেন্ট্রালাইজড এসএমএসের মাধ্যমে ফিল্ড কমিটির সদস্যদের ইউনিক রেফারেল কোড পাঠানো হবে৷

◾কোনও সমস্যা হলে জেলা কমিটি রাজ্য কমিটিকে জানাবে।