বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বকে মুকুল রায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শুরু করলেন,” হয় আমাকে নির্দিষ্ট কাজ বা দায়িত্ব দিন। অন্যথায় আমাকে আমার মত ছেড়ে দিন। তখন যেন নারদা বা অন্য ইস্যু নিয়ে টানাটানি না হয়।”
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও স্বপন দাশগুপ্তকে এই কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়।
মুকুলের বক্তব্য: বিজেপির তাঁকে আদৌ দরকার কিনা বলুক। নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিক। এইভাবে বসে সময় নষ্ট করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কৈলাস এবং স্বপন দুজনেই তাঁকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কৈলাস অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলে মুকুলের জন্য সময় ঠিক করে দেবেন। মুকুল সামনাসামনি কথা বলতে চান।
কৈলাস মুকুলকে বলেছেন, সামনে বাংলার বিধানসভা ভোট। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে মুকুলকে মন্ত্রী করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই সময় মুকুল অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
জানা গিয়েছে, মুকুলের এবারের সফরসঙ্গী সব্যসাচী দত্তও মুকুলকে বলেছেন, এতদিন যখন অপেক্ষা করা হল, তখন আরেকটু সময় নিতে।
কৈলাস চাইছেন দল মুকুলকে এখন মন্ত্রী করুক। তারপর উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসুক। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেই মন্ত্রিসভায় রদবদল। বাংলা ও বিহার গুরুত্ব পাবে, কারণ এই দুই রাজ্যেই সামনে ভোট।
দিল্লির পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল এই সময়টা এসপার ওসপার করে নিতে চাইছেন। হয় নির্দিষ্ট সম্মানজনক দায়িত্ব, অন্যথায় বিকল্প ভাবনা। এতদিন বিষয়টি ফেলে রাখলেও এখন ভোটের তাগিদেও এ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপির দিল্লির নেতারা। অমিত শাহ ও নাড্ডার সঙ্গে মুকুলের বৈঠক হলে তখন বিষয়টি খানিকটা স্পষ্ট হবে। তবে মুকুলের চাপ কাজ দেবে বলেই কৈলাসশিবিরের ধারণা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.