বদলাচ্ছে পরিবেশ, সময়ের আগেই কুলিক ভর্তি শামুকখোলে

0
1

উত্তর দিনাজপুরের কুলিক পাখিরালয় আসতে শুরু করেছে শামুকখোল পাখি। তবে এই সময় তাদের আসার কথা নয়। এই পাখিরালয়ে এদের আসার কথা জুন মাসের শেষে অথবা জুলাইয়ের শুরুতে। পাখিরালয়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসে উপস্থিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় পরিবেশে ঘটেছে বদল আর তার জেরেই এমন অবস্থা।

শামুকখোল পাখির পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম আস্তানা কুলিক। এই সময় এই পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যাটা চোখে পড়ার মতো। পরিবেশবিদরা আরও একটি কথা উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মতে প্রাকবর্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াও এদের আগে চলে আসার একটি কারণ। বৃষ্টির ফলে তাদের খাবারের জোগান যেমন বাড়ছে তেমনি পরিবেশও অনেকটা ঠান্ডা হয়েছে।

পরিযায়ী পাখিদের সময়ের আগেই কুলিকে আসার কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রায়গঞ্জের ডিএফও সোমনাথ সরকারকে। তিনি বলেন, “এবার প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই পাখি চলে এসেছে। এবছর এপ্রিল মাসে যে গরম থাকার কথা সেই গরম ছিল না। প্রাকবর্ষায় বৃষ্টি ভাল হয়েছে। পরিবেশ তুলনায় ঠান্ডা আছে। লকডাউনের ফলে পরিবেশ দূষণ অনেক কমেছে। পরিবেশে অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে। সব মিলিয়ে পাখিরা এবছর এত আগে চলে এসেছে।”

আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ডিএফওকে। সেই উত্তরে তিনি বলেন, “এত আগে শামুকখোল চলে আসার কোনও রেকর্ড নেই। এক সপ্তাহ আগে আসার রেকর্ড ছিল কিন্তু এবছর তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে পরিযায়ী পাখিরা চলে এসেছে।”

শামুকখোল চেনার সহছ উপায় উপরের আর নীচের চঞ্চুর মাঝে বেশ খানিকটা ফাঁক থাকে। এই পাখি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ভারতীয় উপমহাদেশে। সাধারণত এক জায়গায় যতক্ষণ খাবারের জোগান শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ এরা সেখানে দল বেঁধে থাকে। এরা সাধারণত শীতের আগেই কুলিক ছেড়ে চলে যায়।

ডিএফও জানিয়েছেন, পাখিরা চলে এলেও এখনই পক্ষীনিবাস জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে না। লকডাউনের জন্যই পাখিরালয় বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা এলে তারপরে পাখিরালয় খোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।