“আমি আটবারের বিধায়ক। সবাই আমার কাছে সমান। তাই
মানুষের অসুবিধা বা সমস্যাদেখলে চুপ থাকতে পারি না।” আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
আমফান পরবর্তী সময়ে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি করেছিল। সেই প্রসঙ্গে সাধন পাণ্ডে বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। ফিরহাদের সঙ্গে ক্যাবিনেটে আমার কথা হয়েছে। দল আমাকে চিঠি দিয়েছিল প্রকাশ্যে মুখ খোলায়। আমি তার উত্তর দিয়েছি। দল গোটা বিষয়টি বিবেচনা করেছে। আসলে সবাই লকডাউনের প্রথম দিন থেকে রাস্তায় নেমে এলাকায় মানুষের স্বার্থে কাজ করছি। এখনও করে যাচ্ছি।”
ফিরহাদ প্রসঙ্গে মন্তব্য করায় সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন তারই দলের বিধায়ক পরেশ পাল। এ বিষয়ে সাধনবাবু শুধু একটিই কথা বলেন, “ওর চৈতন্য হোক।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিটি নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক পালা করে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। মূলত, করোনা ও আমফান মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরা এবং বিজেপি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অপপ্রচারের জবাব দিয়েই শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের লাগাতার সাংবাদিক বৈঠক। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে।
কাকতলীয় ভাবে এদিনই ছিল রাজ্য বিজেপির ভার্চুয়াল মিটিং। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন অমিত শাহ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তারও জবাব দিয়েছেন সাধন পাণ্ডে।
তিনি বলেন, “এ সময় বাংলা কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছে। কেউ রাজনীতি করবেন না দয়া করে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অনেক আগে থেকে বাংলায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চলছে। অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন এটা বদল করা সম্ভব নয়। তাছাড়া রাজ্যকে যদি কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয়, তবে প্রকল্প বদল করে লাভ কী?”





























































































































