করোনা বিতর্কে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের ভাগীদার আরও অনেকগুলি দেশ!
নিউজিল্যান্ডের দাবি সে দেশ থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে। আর কোনও করোনা রোগী নেই নিউজিল্যান্ডে। ফলে তুলে নেওয়া হয়েছে সবধরনের নিষেধাজ্ঞাও। বিশ্ববাসী নিউজিল্যান্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । তবে এই সাফল্যের ভাগীদার আরও দেশ।
সেগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য
মন্টেনিগ্রো:
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবার শেষে করোনা থাবা বসিয়েছিল মন্টেনিগ্রোতে।
মাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার জনসংখ্যা দেশটিতে। গত ১৭ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৪ জনে। সংক্রমণ শুরুর মাত্র ৬৮ দিনের মধ্যই নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে দেশটি।
ইরিত্রিয়া:
আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় দেশটির জনসংখ্যা ৬০ লাখের মতো। গত ২১ মার্চ নরওয়ে-ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে সেখানে। মাত্র ৩৯ জনে আক্রান্ত হওয়ার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় দেশটি। গত ১৫ মে নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে দিয়েছে ইরিত্রিয়া। সংক্রমণ প্রতিরোধে তারাও গোটা দেশে লকডাউন করেছিল ।
পাপুয়া নিউ গিনি:
দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে গত ২০ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরের চার সপ্তাহে সেখানে আক্রান্ত হন আরও সাতজন। ৪ মে’র মধ্যেই অবশ্য সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় প্রত্যেককে । প্রায় ৮১ লাখ জনসংখ্যা ওই দেশের । সংক্রমণ প্রতিরোধে তারা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল।
সিশেলস:
এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১১ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন সবাই। ৯৭ হাজার জনসংখ্যার এ দেশে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ১৪ মার্চ। এরপরই প্রমোদতরি বন্ধের পাশাপাশি চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ।
হলি সি:
ছোট্ট নগররাষ্ট্রটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১২ জন । ৬ জুনের মধ্যে করোনা নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন সবাই। সংক্রমণ শুরুর পরপরই সব ধরনের পর্যটন নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি। এমনকি পোপ ফ্রান্সিসের জনসমাবেশে হাজারো মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। শহরের বাসিন্দাদের ঘরে বসে কাজ করতে বলা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রত্যেক বাড়ি দিনে দুইবেলা খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস:
এই ক্যারিবিয়ান দেশটি নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে গত ১৯ মে। এর পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় বিমানবন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনাবশ্যক সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। জারি করা হয় কারফিউও। ফলে বিপদ বেশিদূর এগায়নি, মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫২ হাজার জনসংখ্যার দেশটিতে। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন সবাই।
বাইরে থেকে আসা সবার জন্যই বাধ্যতামূলক করা হয় ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন। দেশটিতে মোট ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের সবাই সুস্থ হয়ে ওঠার পর গত ২০ এপ্রিল নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করেছে ফিজি।
পূর্ব তিমুর:
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি করোনা সংক্রমণ শুরুর থেকেই সতর্ক ছিল। ফেব্রুয়ারিতেই তারা চিন থেকে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে, বন্ধ করে দেয় ইন্দোনেশিয়া সীমান্ত। ২১ মার্চ সেখানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নিষিদ্ধ করা হয় জনসমাবেশ, বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। দেশটিতে মোট ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.




























































































































