কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তিনি। সরকারের খাতায় সেটাই উল্লেখ আছে। কিন্তু শিক্ষিকা হিসেবে আরও ২৪টি স্কুলে যুক্ত আছেন তিনি। অথচ সেই তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় শিক্ষিকার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
উত্তরপ্রদেশের বুনিয়াদি শিক্ষা দফতরের অধীনে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকতা করেন অনামিকা শুক্লা। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ডেটাবেস তৈরি করতে গিয়ে দেখা যায় একই সঙ্গে ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন অনামিকা। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি স্কুল থেকে আলাদাভাবে বেতন তুলছেন তিনি।
বুনিয়াদি শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, অনামিকা মইনপুর জেলার বাসিন্দা। অমেঠী, আম্বেদকর নগর, রায়বরেলি, প্রয়াগরাজ, আলিগড় প্রভৃতি জেলার মোট ২৫টি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে নাম রয়েছে তাঁর। প্রতিটি স্কুলে পড়ানোর জন্য ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন তিনি। কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের পর মেডিক্যাল কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই বুনিয়াদি শিক্ষা দফতর তাঁর ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু তার জবাব মেলেনি।
উত্তরপ্রদেশের বুনিয়াদি শিক্ষা মন্ত্রী ড: সতীশ দ্বিবেদি জানিয়েছেন, “এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা দফতর।ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই কাজে অন্য কেউ যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা দফতর।”