বনগাঁর পেট্রাপোলে বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বাধার সৃষ্টি করছেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে বনগাঁর পেট্রাপোলের বর্ডারের দু’দিকে কয়েকশো গাড়ি দাড়িয়ে আছে বিভিন্ন পণ্য বোঝাই করে। এর মধ্যে এমন অনেক কিছু জিনিস আছে যা সহজে নষ্ট হয়ে যায়। এবং রাজ্য সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্যে সদিচ্ছার অভাবের জন্যই এমন হচ্ছে বলে দাবি করেন রাহুল সিনহা।
তিনি জানিয়েছেন, দীর্দিন ধরে পেট্রাপোল বর্ডার বন্ধ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত সরকার সেই বর্ডার খুলে বাণিজ্য চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ, তৃণমূল সরকারের একদল লোক এই পণ্য আদান-প্রদানে অন্যায়ভাবে বাধার সৃষ্টি করছে।
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পেট্রোপোল সীমান্ত থেকে মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, তৃণমূলের লোকেরা তোলাবাজি করে প্রত্যেক লরি পিছু মোটা টাকা আমদানি করছে। রাহুল সিনহা রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পেট্রাপোলে গাড়ি আটকে রাখার সাহস তৃণমূলের ওপর মহলের নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই তাঁরা মনে করেন এর সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরোপুরি যুক্ত আছে। এবং নির্দেশেই এসব হচ্ছে।
এদিন রাহুল সিনহা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এই বিষয়ে। আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার কোনও অধিকার বা এক্তিয়ার রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের নেই জানান তিনি। রাজ্য সরকারের কাছে যে সকল ব্যক্তি এই বাণিজ্যে বাধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।