ভীতি কাটাতে কনটেইনমেন্ট জোনে নয়া বিধি

0
1

কেন্দ্রের নিয়মে কনটেইনমেন্ট জোনে জুন মাস থাকবে লকডাউন। আর বাকি অংশে আনলক ফেজ ওয়ান। এই পরিস্থিতিতে যাতে কনটেইনমেন্ট এলাকার বাসিন্দারা অযথা আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, তার জন্য নিয়মের কিছু পরিবর্তন আনল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্র খবর,

শহরাঞ্চলে

• যে ফ্ল্যাটের বাসিন্দা করোনা-আক্রান্ত, শুধু সেই ফ্ল্যাটটিকেই কন্টেনমেন্ট এলাকা হবে

• একাধিক ফ্ল্যাটের বাসিন্দা আক্রান্ত হলে সেই বহুতল কন্টেনমেন্ট এলাকাভুক্ত

• একাধিক বহুতলের (টাওয়ার) বাসিন্দা আক্রান্ত হলে আবাসনটি কন্টেনমেন্ট জোন

গ্রামাঞ্চলে

• যে বাড়ির বাসিন্দা আক্রান্ত, সেই বাড়ি ও তার পাশের বাড়ি কন্টেইনমেন্ট জোন

পরিসংখ্যান বলছে, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরায় রাজ্যে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসী যাতে ভীত হয়ে না যান, সেটার জন্যই কন্টেইনমেন্ট এলাকার পরিধি কমানো হচ্ছে। জোন বড় হলে অনেক বাসিন্দাকেই অকারণে আটকে থাকতে হয়।
কোথাও একই শৌচাগার অনেকে ব্যবহার করছেন কি না, খেয়াল রাখা হচ্ছে। বয়স্ক হলে এবং কো-মর্বিডিটি থাকলে বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কন্টেইনমেন্ট এলাকার মেয়াদ ১৪ দিন।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এক বা দু’জন আক্রান্ত হলে গোটা পাড়াকে কন্টেইনমেন্ট করে লাভ হচ্ছে না। তাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ভীতি দূর করতে কন্টেইনমেন্ট এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের ভার স্থানীয় বাসিন্দাদেরই দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এই বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। তবে অনেকের মতে ভীতি দূর করতে নয়, নিজেদের দায়িত্বভার কমাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর ভার চাপাতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন।