লকডাউন অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, এমন অভিযোগ বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের সারবত্তাই এবার প্রতিফলিত হল সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেভলাইভ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি পথ নিরাপত্তার ওপর কাজ করে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, দেশ জুড়ে চলা লকডাউনে ১৪৬১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৫ মার্চ থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত যেখানে ৭৫০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে ১৯৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ১৩৯০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। লকডাউনে দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুতে ২৬.৪ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা নিজেদের বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। কখনও ট্রাক বা বাস চালকদের অতিরিক্ত ক্লান্তিতে দুর্ঘটনা, কখনও আবার অতিরিক্ত গতিবেগের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছে ওই রিপোর্ট।রাজ্যগুলির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর হারে এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এর পরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলা লকডাউনের জেরে একাধিক রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে পরিযায়ীদের নিজেদের রাজ্যে ফেরায় রেলমন্ত্রক। গত কয়েক সপ্তাহে লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ীকে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানো হয়েছে। শুধু রেলপথই নয়, সড়কপথেও রাজ্যগুলি তৎপর হয়ে পরিযায়ীদের বাসের ব্যবস্থা করে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়েছে।





























































































































