করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হচ্ছে ভিয়েতনাম, নেপথ্যে সরকারের কড়া নজর

0
1

জানুয়ারির শেষে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২। ১০ কোটি জনসংখ্যার দেশে আজ আক্রান্ত ৩২৮। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৯। মৃত্যু সংখ্যা শূন্য ভিয়েতনামে। শুধুমাত্র পরিচ্ছন্নতা ও জনস্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়ে সরকারের কড়া নজর করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছে।

চিন বা দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ভিয়েতনাম। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মাঝারি মানের। জটিল অসুখ সারাতে যেতে হয় সিঙ্গাপুরে। অথচ গত কয়েক মাসে অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনা মোকাবিলা করছে ভিয়েতনাম। কঠোর নিয়ম, সরকারি নির্দেশিকা ও জনগণের সচেতনতা হারিয়ে দিল মারণ ভাইরাসকে।

২৩ জানুয়ারি সেদেশে ২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরই তৎপর হয় প্রশাসন। বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের দরজা। ১ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমণকে স্বাস্থ্য সঙ্কট হিসেবে ঘোষণা করে ভিয়েতনাম সরকার। কিন্তু মার্চের শেষে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। দেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে গিয়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে সরকার। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় বেশ কয়েকজনকে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড এপিডেমোলজির ডেপুটি প্রধান ফাম কোয়াং থাই জানান, দেশের সাতশোরও বেশি জেলায় ১১ হাজার হেলথ সেন্টার, কোভিড কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং আইসেলোশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়। গৃহবন্দিদের কাছে নিয়মিত খাবার ওষুধ জল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেয় প্রশাসন।

এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, দোকান বাজারে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নিয়মিত ছোট বড় শহর পরিষ্কার করছে স্থানীয়। সরকারের নিয়ম বিধি মেনে চলছেন সাধারণ মানুষও। এই ভাবেই মারণ ভাইরাসকে রুখতে পেরেছে সরকার।