অর্থনীতির বিরাট অংশ উন্মুক্ত করা হল, আরও সতর্ক হতে হবে এই সময়ে, ‘মন কি বাত’-এ রবিবার স্পষ্ট জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি লকডাউন আনলক করার ফেজ-১ বলে বর্ণনা করা হয়। সমস্ত দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও বিমান পরিষেবাও শুরু হয়েছে। মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থান আগামী ৮ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে। সমস্ত নিষেধাজ্ঞা এভাবে ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘শেষবার যখন আমি কথা বলেছিলাম তখনও যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে আমাদের অমনোযোগী হওয়া উচিত নয়। সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য প্রোটোকলকে একই ভাবে মেনে চলতে হবে আমাদের।”
তিনি জানান, ভারত এই সংক্রান্ত বিষয়ে বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, বহু কম জনসংখ্যার দেশের তুলনায় আমাদের দেশে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা অনেকাংশেই সফল হয়েছি।”
লকডাউনের সময়ে ভারত সবচেয়ে করোনা-বিধ্বস্ত দেশের তালিকায় ন’নম্বরে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১.৮২ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮,৩৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন যা একদিনের নিরিখে সংক্রমণের নয়া নজির।
আমফান সম্পর্কে তিনি বলেন, একদিকে আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছি, আর একদিকে বাংলা, ওড়িশায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে। যেভাবে দুই রাজ্যের মানুষ আমফানের মোকাবিলা করেছে, তা প্রশংসনীয়।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অংশে পঙ্গপালের হানায় মানুষের ক্ষতি হয়েছে। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদি জানান, লকডাউনের জেরে পরিবেশ দূষণ কমেছে। তবুও মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা- এগুলি মেনে চলতে হবে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.