কলকাতার পর সেনা নামিয়ে শুরু বিধ্বস্ত সুন্দরবন পুনর্গঠনের কাজ

0
1

আমফানে বিধ্বস্ত সুন্দরবন। স্তব্ধ হওয়া কলকাতাকে সচল করতে আগেই নেমেছিল সেনা। এবার সুন্দরবন পুনর্গঠনের কাজ শুরু করলো ভারতীয় সেনা।

সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা নামখানা ব্লকে গিয়ে স্থানীয় বিডিও রাজীব আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সবচেয়ে দুর্গত এলাকা মৌসুনি দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷ মৌসুনি দ্বীপ এলাকা আমফানের দাপটে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ার সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে পড়েছে। সমুদ্র ও বাঁধের বড় অংশ দিয়ে নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার পুনর্গঠন করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। কিন্তু এলাকা দুর্গম হওয়ায় সেনা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মৌসুনির পাশাপাশি বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপ এলাকাও দুর্গম হয়ে গিয়েছে। সেখানেও সেনা ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার থেকেই এলাকা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে সেনা। গত সপ্তাহে কাকদ্বীপ প্রশাসনিক ভবনে আমফানের ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনের বৈঠক থেকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো শুরু হয়েছে এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এদিন কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকার মোড়ে মোড়ে পানীয় জল নেওয়ার ভিড় দেখা গিয়েছে। ভ্রাম্যমান গাড়িতে ট্যাংকের মাধ্যমে এই জল পৌঁছে যাচ্ছে। এখনও সুন্দরবন সহ জেলার বহু অংশ বিদ্যুৎহীন। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। টানা ১১ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকতে শুরু করেছে বিপন্ন মানুষদের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই রামগঙ্গা, নামখানা, কাকদ্বীপের একাধিক বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার করে টাকা ঢুকেছে।