কলকাতার বুকে সবুজ ফেরাতে বন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে ফিরহাদ, জানুন কী হলো

0
1

আমফানে বিপর্যস্ত তিলোত্তমা কলকাতা। বিধ্বস্ত শহরের সবুজায়ন। কলকাতার বুকে দ্রুত সবুজ ফিরিয়ে দিতে

রাজ্যের বন এবং সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন বন বিভাগের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে রাজ্যে প্রায় ১৬০০ স্কোয়ার কিলোমিটার ক্ষতি হয়ছে সবুজের। প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার সবুজ ধ্বংস হয়েছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের ফলে।প্রায় ১৬ লাখ গাছ ক্ষতিগ্রস্থ। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি গাছ লাগানো হবে রাজ্যের ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত এলাকাগুলিতে।নকলকাতার জন্য লাগানো হবে নিম-দেবদারু তথা জারুল প্রজাতির গাছ। যে গাছগুলি ঝড়ের ফলে সহজে ভেঙে পড়ে না বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন থেকে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে রাজ্যের বন দফতর। পাশাপাশি, সমস্ত স্কুলগুলোকে আবেদন জানানো হচ্ছে, যাতে তারা স্কুলেগুলির মধ্যে উপযুক্ত অঞ্চল গাছ লাগায়। যা সাধারণ মানুষের কাছেও গাছ লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছে। গাছ লাগানোর ব্যাপারে বন দফতরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন।

অন্যদিকে, কলকাতায় মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য গাছ লাগানো হবে। মুম্বই-চেন্নাইয়ের মতো সমুদ্রে ঘেরা অন্যান্য শহরের বায়ু দূষণ সেভাবে বোঝা যায় না। কিন্তু কলকাতায় কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই। সেজন্য গাছই একমাত্র পারে বায়ু দূষণ কমাতে। তাই গাছ লাগানো আবশ্যিক।

এর পাশাপাশি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, করোনা নিয়ে কলকাতার মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও প্রচার করবে পুরসভা। সোশ্যাল ডিসটেন্স অবশ্যই রাখতে হবে। এছাড়া বাধ্যতামূলক ভাবে মাক্স ও গ্লাভস পড়তে হবে।

তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার বলেছেন। একটি অডিও ক্যাসেট করা হয়েছে, সেটা সমস্ত ওয়ার্ডে বাজানো হবে। এছাড়া মানুষকে সচেতন করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারণ, সচেতন না করলে করোনা মুক্ত করা যাবে না শহরকে। লকডাউনে মানুষ আর কতদিন বসে থাকবে, সেজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হয়েই কাজেকর্মে বেরোতে হবে।

তবে করোনা নিয়ে মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনিও বলেন, ভয় না পেয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। এবং এই সংক্রামক হলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য বলে জানান মুখ্য প্রশাসক।