আমপান-ঘূর্ণির ক্ষত এখনও শহরের সারা শরীরে দগদগে হয়ে আছে৷ সেই ঘা সামলাতেই নাজেহাল পুরসভা, প্রশাসন৷
তারই মধ্যে ফের ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে
বুধবার রাতে আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী৷ ফলে ফের শহর বিপর্যস্ত৷ ফের গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি এবং ট্র্যাফিক সিগন্যাল উপড়ে কলকাতা স্তব্ধ৷
বুধবার প্রায় রাতভর বৃষ্টিয়েছে৷ তবে শহরকে কার্যত অচল করেছে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে চলা টানা প্রবল বৃষ্টি৷ বুধবার রাতের ঝড়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফের গাছ পড়ে রাস্তা আটকেছে৷ একাধিক জায়গায় ফের উপড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ট্র্যাফিক সিগন্যাল৷ বড়তলা থানা এলাকার গোয়াবাগানের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচিল ভেঙেছে৷ সেই পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে পড়েছে পাশের বস্তিতে। ভেঙ্গেছে বস্তির দু’টি বাড়ি। তেলেঙ্গাবাগানে বটগাছ -সহ একটি পুরনো বাড়ি ভেঙেছে৷ শহরের এ পর্যন্ত ৩৫টি গাছ পড়েছে বলে পুরসভার খবর৷
বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর সামনে, ফুলবাগানে এবং বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের কাছে, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড, লেক রোড, বেলেঘাটা মেন রোড, চাউলপট্টি রোড, নারকেলডাঙা মেন রোড,
রাজা এস সি মল্লিক রোড,
বি কে পাল অ্যাভিনিউ, রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট, রাজা বসন্ত রায় রোড-সহ বহু জায়গায় গাছ উপড়েছে৷ বহু জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তার এক দিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শোভাবাজারে একটি গাড়ির উপর পড়েছে গাছ। গাড়ির ভিতরে থাকা কারও তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ কাশীপুর রোড এবং চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের সংযোগস্থলে একটি বাতিস্তম্ভ রাস্তার মাঝখানে ভেঙে পড়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল দিয়ে গাড়ির যাতায়াত। পুরসভার টিম গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, বিশেষ করে উপকূল এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দিনভর৷ সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। একইসঙ্গে হাওয়া অফিস সতর্ক করেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবন এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে চলবে বৃষ্টিও। গাঙ্গেয় জেলাগুলোতে আগামী দু-এক দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং দুই মেদিনীপুরে।




























































































































