মমতা-অভিষেক জুটি, বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে ছুটছে শক্তিশালী সংগঠন

0
1

আমফান বিপর্যয় মোকাবিলায় ঘরে-বাইরে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। সরকারি সমস্ত এজেন্সিকে যুদ্ধে নামিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু সরকারি-বেসরকারি এজেন্সি নয়, গণসংগঠন এমনকী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও একইভাবে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় পথে নেমেছে। বিরাট এই কর্মযজ্ঞ চলছে মমতা-অভিষেকের জুটির উদ্যোগে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্যোগে আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে সবক্ষেত্রে বৈঠক করা সম্ভব নয়। তাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সকলের সঙ্গে বৈঠক করছেন, দ্রুত নির্দেশ দিচ্ছেন, নির্দেশ পাঠাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আবার সরকারি কর্তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছেন। ফলে একদিকে দুর্যোগের পর পুনর্গঠনের কাজ যেমন দ্রুত করার নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে, তেমনি মানুষকে রিলিফ দেওয়ার প্রাথমিক জিনিসপত্রও পাঠানো হচ্ছে। মেদিনীপুর থেকে উত্তরদিনাজপুর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। নমঃশূদ্র পরিষদ হোক, কিংবা আশা কর্মী, আইসিডিএস বা আদিবাসী সংগঠন, সকলকে নিয়েই একযোগে চলছে কাজ। কো-অর্ডিনেশন তৈরির কাজ করছে টিম অভিষেক। আর সেখানে নির্দেশ দিয়ে সঠিক দিশা দেখিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে “দিদিকে বলো” মাধ্যম দারুণ কাজ করছে। অজস্র ফোন, অভিযোগ, সাহায্যের আবেদন। সেই অসুবিধাগুলি স্ক্যান করে ফেলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে। কাজ হচ্ছে দ্রুত। মুখ্যমন্ত্রী বোঝাচ্ছেন কোন প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে। যেমন আমফানে যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদের প্রত্যেককে টাকা দিচ্ছে সরকার। একইভাবে চাষের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য এমনকী রেশন ব্যবস্থা নিয়েও অনুসন্ধান, হাতে-হাতে মানুষ পাচ্ছেন কিনা দেখে নেওয়া হচ্ছে। না পেলে বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসা। নির্দেশ, পালন এবং ফলো আপ চলছে একেবারে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ে কাজ শেষ করার ব্যস্ততা।

দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের জেলা জুড়ে তৃণমূলের নয়া কর্মপদ্ধতি ও কর্মকুশলতা মানুষকে একদিকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে, পাশাপাশি মমতা-অভিষেক জুটি উদাহরণ তৈরি করছেন দুর্যোগ মোকাবিলার ট্রেন্ড সেট করে।