কোটি টাকার প্যাঁচার ছবির ক্রেতা CESC-এর বঙ্গভূষণ মালিক এখন বলির পাঁঠা! তোপ দিলীপের

0
3

ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, বুধবার রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে রাজ্যের সমালোচনা করার পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলন করে বেশ কতগুলা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তিনি। তার জন্য বিভিন্ন কমিটিও গঠন করেন।

এক নজরে সাংবাদিক বৈঠকে যা বললেন দিলীপ ঘোষ–

১) বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখভালের জন্য বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিং -এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে অমানবিক রাজ্য।

২) নরেন্দ্র মোদি ২.০ সরকারের বর্ষপূর্তি পালনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হবে। যার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৩) বর্ষপূর্তি পালনের অনুষ্ঠানের ভাষণ, প্রচার সকল কিছুর দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও মোহিত রায়। সেবামূলক কাজের দায়িত্ব নেবেন ড: সুভাষ সরকার, অগ্নিমিত্রা পাল ও রাজু ব্যানার্জি। লকডাউনের সোশ্যাল ডিসট্যানসিং মেনে ওয়াটস্যাপ, ফেসবুকের গ্রুপের মাধ্যমে প্রচারকার্য চালাবেন একটি কমিটি, প্রতাপ ব্যানার্জি যার নেতৃত্বে দেবেন।

৪) প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আত্মনির্ভর ভারত গঠনের স্লোগানটির ভারচুয়াল প্রচার চালানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার দায়িত্বে আছেন সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

৫) সপ্তর্ষি চৌধুরী প্রেস, মিডিয়া, প্রেস কনফারেন্সের মত ব্যাপারগুলোর দায়িত্ব নেবেন।

৬) রানাঘাটের সাংসদকে কোয়ারেন্টিনের নোটিশ দেখানোর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন , যে সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মানে না তাদের নিয়ম কেন মানবেন তাঁরা? এদিন তিনি রাজ্য প্রশাসনকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানান, বিজেপির কোনও কর্মীরা কোয়ারেন্টিনের বা লকডাউনের কোনও নিয়ম মানবেন না, কাল থেকে তারা সব জায়গায় যাবেন । তিনি বলেছেন, হয় বিজেপিকে সামলান নয় করোনা-আমফানকে সামলান। বাংলার লোকও চাইছেন প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে।

৭) মুখ্যমন্ত্রী তার খাদ্য, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রেডি করেননি, আবার সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সাহায্যেও চাইছেন না।
আমফানের পরে কেন্দ্রের সহযোগিতায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টিম, এনডিআরএফের টিম নেমে সব কাজ করেছে। সেনাবাহিনী নামাতে চারদিন সময় লেগেছিল তাঁর। কারণ, হয় পরিস্থিতি বুঝতে পারেননি, নয় সদিচ্ছা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। পরিষ্কার করে কেন্দ্রকে কী কী সাহায্যে লাগবে তা জানানো দরকার। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনের স্বার্থে কেন্দ্রের সহযোগিতা নেওয়া উচিত।

৮) রাজ্য সরকার তরফ থেকে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন করা উচিত, যাতে কলকাতায় বিমান নামিয়ে তার মারফত বিদেশ থেকে হাজার হাজার কাজ হারানো মানুষ এখানে ফিরে আসতে পারেন।

৯) আমফানের পর বলির পাঁঠা হিসেবে সিইএসসিকে দায়ী করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে , সকল সুবিধা নিয়ে এখন কাজের বেলা কাজি , কাজ ফুরোলে পাজির মত ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ফাঁদে পড়ে সব দায় তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই কোম্পানি যিনি মালিক তাকে বঙ্গভূষণ ভূষিত করল। কোটি টাকার প্যাঁচার ছবি কিনেছিলেন। অনেক সময়ই বিদেশ ভ্রমণে তাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যাতে করে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করা হবে। সামনে আলো করে বসে থাকবে! তারা এখন যখন অসুবিধায় পড়েছে তখন সমস্ত দোষ তার ঘাড়ে ফেলো!

১০) মানবাসেবায় আমরা রাস্তায় নেমে গাছ কেটেছি। তৃণমূলের কোনও নেতাকে দেখা যায়নি এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে! শুধু পরস্পর একে অপরের পা ধরে টানাটানি করেছে সাধন পান্ডে ও ববি হাকিম।

১১) সুজিত বসু নিজের টাকা খরচ করে কিছুটা মানুষের সেবা করেছে, তাহলে সরকার কোথায় গেল? এইভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।

১২) বাংলা থেকে প্রচুর নার্স অন্য রাজ্যে চলে গেছে প্রাণভয়ে।

১৩) রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ল। খাদ্যসচিবকে বদলি করা হলো। স্বাস্থ্য সচিবকে বদলি করা হলো। ঝড়ের বেহাল দশায় কলকাতা কর্পোরেশনের কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হলো। জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, রাস্তায় গাছ পড়ে আছে, সেগুলো সরাতে পারছে না এই অজুহাতে দেখিয়ে আসল লোকের দোষ ঢাকার চেষ্টা করলো!