একাকী। নির্জন। চরাচর জুড়ে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। পাগল পারা হাওয়ায় পাক খাচ্ছে সর্বনাশের গল্প। আমফানে বিধ্বস্ত দিঘা জুড়ে শুধুই হাহাকার।
চেনা সমুদ্র আজ কেমন যেন থমথমে। নির্জন সৈকত অবসন্ন। ক্লান্ত। একা। সোনালী বেলাভূমিতে ঢেউ ভাঙার শব্দ। না কী মন ভাঙার?
বুলবুল, ফণী, লকডাউন, আমফান। পরের পর ধাক্কায় শরীর-মন ভেঙে গেছে দিঘার । বাঙালির প্রিয় পর্যটককেন্দ্র এখন ধুঁকছে। সমুদ্র পাড় জুড়ে শুধুই ধ্বংসের ছবি।
সংকটে দিঘার ঝাউবন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ধরাশায়ী বহু গাছ। কোথাও আবার জলে ডুবে ঝাউবন।
আসলে বাঙালির নস্টালজিয়ায় ঝাউবন। সেই ঝাউবন কবিতায়, ঝাউবন গল্পে, ঝাউবন গানে…। কিন্তু দিঘার সেই ঝাউবনই আজ সংকটে! আমফানের ধাক্কায় তছনছ হয়ে গিয়েছে । উপড়ে গিয়েছেে একের পর এক গাছ।
আমফানের ধাক্কায় ঝাউবনের বুকে গভীর ক্ষত। কোথাও রাস্তায় হেলে পড়েছে ঝাউগাছ, কোথাও জলে ডুবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্র লাগোয়া এলাকাকে আগলে রাখে ঝাউবন । অনেক সময় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকেও বাঁচায় । জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে সৈকত লাগোয়া এলাকাকে । দিঘার সেই ঢালই আজ ক্ষতবিক্ষত। এখন ঝড়ে পড়া গাছগুলোই দুর্গতদের খড়কুটো। জ্বালানির জন্য ভেঙে পড়া গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































