এবছর যেন একটার পর একটা বিপদ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে। করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারির জেরে গোটা বিশ্বে যখন খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস, তখন কৃষকের একরাশ আতঙ্ক বাড়িয়ে শস্যক্ষেতে দেখা দিচ্ছে পঙ্গপালের পাল। মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি জায়গায় খাদ্যশস্যের ভয়ঙ্কর শত্রু এই পতঙ্গকুলের গতিবিধি নজরে আসার পরই রাজ্য কৃষি দফতর থেকে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ কৃষি জমিতে পঙ্গপালের অনুপ্রবেশ মানেই মাইলের পর মাইল ফসল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
জানা গিয়েছে, চলতি লকডাউনের মধ্যে ১৭ মে রাজস্থান থেকে ছটি পঙ্গপালের ঝাঁক মধ্যপ্রদেশে ঢুকেছে। এই মুহূর্তে ফসল তোলা সারা হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামান্য। রাজস্থানের কৃষকরা এই পঙ্গপালের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত থাকলেও লকডাউন চলায় তাঁরাও সময়মত পঙ্গপাল নিধনের কাজ করতে পারেননি। ফলে পঙ্গপালের পাল মধ্যপ্রদেশের শস্যক্ষেতে ঢুকে পড়েছে। ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার লম্বা ও প্রায় দুই কিলোমিটার চওড়া কোটি কোটি পঙ্গপালের ঝাঁক এক একদিনে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উড়ে যায়। দিনের বেলা হাওয়ার গতি যেদিকে থাকে সেদিকেই উড়তে থাকে পঙ্গপালের ঝাঁক। সেজন্য রাতের বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করার নিয়ম। রাজস্থান সীমান্ত ও মধ্যপ্রদেশের অন্তত তিনটি গ্রামের শস্যক্ষেতে দেখে মিলেছে ফসলের শত্রু পঙ্গপালের। মধ্যপ্রদেশ কৃষি দফতর সূত্রে বক্তব্য, ফসল আগে তোলা হয়ে গিয়েছিল। তাই ফাঁকা জমিতে পঙ্গপালের পাল তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু আর কিছুদিন বাদে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়তে থাকবে এবং শস্য বপন শুরু হয়ে যাবে। তার আগে পঙ্গপাল ধ্বংস করতে না পারলে কৃষি ও কৃষকের সর্বনাশ। তাই এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।































































































































