উত্তর থেকে দক্ষিণ।
আমফানের 48 ঘন্টা পরেও কলকাতা লন্ডভন্ড।
বাস্তবে কী অবস্থা, বিদ্যুৎ এবং জল কেন বহু জায়গায় বিপর্যস্ত; কেন কিছু অভিযোগ আসছে; সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজপথে টিম এখন বিশ্ব বাংলা।
শুক্রবার বিকেলের পর আমাদের পর্যবেক্ষণ:
1) পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হতে সাত থেকে দশ দিন।
2) বহু বিদ্যুতের খুঁটি বা সিগনাল পোস্ট কাজ শুরু করতে আরও দেরি।
3) বিপুল সংখ্যায় বড় বড় গাছ পড়ে। তার সঙ্গে জড়ানো বিদ্যুতের তার ও পরিকাঠামো। বিধান সরণী, বিবেকানন্দ রোড, বিটিরোড, এপিসি রোড, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, পূর্ণদাস রোড, সাদার্ণ অ্যাভিনিউ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সহ অসংখ্য জায়গায় গাছ পড়ে। এই সব কাজ রাতারাতি দুএকদিনের মধ্যে কেটে সরানোর পরিকাঠামো, ক্রেন ও লোকবল একসঙ্গে সর্বত্র কাজ করা অসম্ভব।
4) কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ চালু হলেও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ চালু করা বিপজ্জনক। ট্রামলাইনের উপরের তারগুলি গাছে জড়িয়ে রাস্তায় পড়ে।
5) পুরসভা জল ও নিকাশী চালু রাখতে সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু সব জায়গায় এটা করা বাস্তবিকই সম্ভব নয়। একটু সময় লাগবেই।
6) আমফানের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল, তছনছ হয়েছে গোটা শহর। এটা কারুর হাতে নয়। অতীতেও ঝড়বৃষ্টিতে শহরের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে ভয়াবহতা। ফলে গোটা শহর রাতারাতি ছন্দে ফিরবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মীরা এবং বহু এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে হাত মিলিয়ে চেষ্টা করছেন, এটাই আশার কথা।
আসলে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি ঠিক কী, এক একটা বড় গাছ কতগুলো তার নিয়ে কীভাবে পড়ে রাস্তা আটকে আছে; এটা চোখে না দেখলে পরিস্থিতি বোঝা অসম্ভব।




























































































































