আমফানের জেরে নিশ্চিহ্ন হতে পারে মরিচঝাঁপি-কুমিরমারি দ্বীপ!

0
1

আমফান ফিরিয়ে দিচ্ছে আয়লার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। কপালে চিন্তার ভাঁজ উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের। সিঁদুরে মেঘ দেখছে বনবিভাগও। আশঙ্কা সুপার সাইক্লোনের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি ও কুমিরমারি দ্বীপ। ২০০৯ সালের এমনই এক মে মাসে তাণ্ডব চালিয়েছিল আয়লা। তার জেরে তলিয়ে যায় ওই দুই দ্বীপ। পরে ধীরে ধীরে আবার জেগে উঠেছিল।

ওই দ্বীপের কাছে রয়েছে রায়মঙ্গল নদী। আমফানের জেরে জলোচ্ছ্বাস হবে তা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। এর ফলে বন্যপ্রাণীর নদীতে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। আবার স্থলভাগের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে যেতে পারে তারা। সব মিলিয়ে প্রবল সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের মাতলা, বিদ্যাধরী, গোমর, বুড়িগঙ্গা, হাতানিয়া, দোয়ানিয়া নদীতে ব্যাপক পরিমাণে জল বাড়তে শুরু করেছে। অমাবস্যার কোটালের আগে এই ব্যাপক জল স্ফিত হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে সাধারণ মানুষের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সাগরে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৮৫ মিলিমিটার।