লকডাউনের জেরে বিশ্বের দৈনিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাত্রা কমেছে। সমীক্ষা বলছে এমনটাই। নভেল করোনাভাইরাস রুখতে বিশ্বের বহু দেশে চলছে লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে প্রায় সবকিছুই। বিশ্বজুড়ে প্রায় তিন মাস ধরে সামনে আসছে এই ছবি। লকডাউনের ফলে বন্ধ কলকারখানা এবং যানবাহন চলাচল। কমেছে দূষণের মাত্রা।
সমীক্ষার নাম ‘গ্লোবাল কার্বন প্রোজেক্ট’ । প্রায় ৪৫০ ডেটাবেস পর্যবেক্ষণ করে দৈনিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের এই তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় এ বছর দৈনিক প্রায় ১৭ শতাংশ কমেছে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বিশ্ব জুড়ে দৈনিক কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমেছে। ২০২০ সালের বাকি সময় লকডাউন বজায় থাকলে দৈনিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাত্রা কমবে ৭ শতাংশ। দ্রুত লকডাউন শিথিল করলে তার পরিমাণ কমবে ৪ শতাংশ। গোটা হিসেব করা হয়েছে ২০১৯ সালের নিরিখে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক কার্বন নির্গমনের মাত্রা আগের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে। চিনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দৈনিক কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমেছে প্রায় এক চতুর্থাংশ। এছাড়াও ভারত এবং ইউরোপে যথাক্রমে ২৬ এবং ২৭ শতাংশ করে কমেছে দৈনিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ।




























































































































