সুপার সাইক্লোনের গাস্টিং বা ঝাপটা থেকে রেহাই মিলবে না কলকাতারও।
এটা জানার পরই তৈরি হচ্ছে শহরের প্রশাসন৷
? কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন সেচ দফতর ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে :
◾চলতি সপ্তাহে পুর কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে৷
◾ঝড়বৃষ্টির সময়ে রাস্তার গালিপিট যাতে আটকে না যায়, সে দিকেও নজর রাখা হবে।
◾ঝড়ে বড় গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারনেই গাছ কাটার যন্ত্র নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে পুরকর্মীদের।
◾শহর জুড়ে যে সব বড় হোর্ডিং আছে, দ্রুত সেগুলিকে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কাজও শুরু হয়েছে৷
◾ গঙ্গার জলস্তর এখন অনেকটাই নীচে। প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কায় ২৪ঘন্টা গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত লকগেটগুলি খুলে রাখতে বলা হয়েছে সেচ দফতরকে।
◾এর ফলে জমা জল দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারবে৷
? কলকাতার সবক’টি থানার ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নগরপাল অনুজ শর্মা৷ ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে :
◾সুপার সাইক্লোন সামলাতে কলকাতা পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি।
◾সব ক’টি জোনে এই টিমকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে৷
◾জীর্ণ বাড়ি ভেঙে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সেজন্য ওই ধরনের বাড়ি এবং সেখানকার আবাসিকদের নামের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে প্রতিটি থানাকে।
◾ দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মীয়মাণ বিভিন্ন বহুতলের ছাদ থেকে ক্রেন বা ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
◾পুরনো বাড়ি, গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টেলিফোনের খুঁটি, কিংবা মোবাইল টাওয়ার উপড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গাছ বা খুঁটি উপড়ে পড়লে দ্রুত তা কেটে সরিয়ে ফেলার জন্যই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ থাকবে।
◾প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমতে পারে৷ পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সেই জল পাম্প করে বের করা হবে।
◾কেউ জলে আটকে পড়লে উদ্ধার করার দিকেও নজর রাখবে পুলিশ।
? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন,
◾বুধবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতায়।
◾প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে শহরের বিভিন্ন অংশে।
◾ঝড়ের সময়ে বাড়ির বাইরে না থাকার জন্য শহরবাসীদের পরামর্শ দিয়েছে আবহওয়া দফতর।
◾দোকান-বাজার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।