পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় জোড়া খুন কাণ্ডে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত কনস্টেবল সন্তোষ পাত্র থানায় গিয়ে আগেই আত্মসমর্পণ করেছিল। তাঁকে জেরা করতেই উঠে এলো খুনের মোটিভ।
বারাসত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী সন্তোষ পাত্রের স্ত্রীয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়ছিল, তার প্রতিশোধ নিতেই গুলি। এবং জোড়া খুন।
অভিযুক্ত পুলিশকর্মী সন্তোষ পাত্র জেরায় স্বীকার করেছে, তার গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে সুমন্ত মণ্ডল ও অরূপ মণ্ডলের। কিন্তু কেন? সে জানিয়েছে, নিহত সুমন্ত মণ্ডল তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছিল, তার প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করেছে। রবিবার অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তেঁতুলিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষ পাত্রের গুলিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। প্রথমে জানা যায়, সুমন্ত মণ্ডল ও অরূপ মণ্ডলের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। তাঁরা রাস্তায় নেমে ঝগড়া করছিলেন। সেই ঝগড়া থামাতে গিয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় কনস্টেবল সন্তোষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গা ঢাকা দেয় কনস্টেবল। পরে সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এরপর শুরু হয় জেরা। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।





























































































































