হাসপাতাল বা সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে থাকা রোগী বা সন্দেহভাজনদের বর্জ্য বা হোম কোয়ারান্টাইনের বর্জ্য কী ভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা আছে৷ কিন্তু হোম কোয়ারান্টাইনের চিকিৎসা- বর্জ্য ও অন্যান্য বর্জ্য সঠিক ভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে না। সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
হোম-কোয়ারান্টাইনের বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত সতর্কতা ও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হলো জাতীয় পরিবেশ আদালতে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত পরিবেশ আদালতে এই বিষয়টি উল্লেখ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন,
হোম কোয়ারান্টাইনের বর্জ্য নিয়ে আরও সতর্কতা দরকার। প্রশাসন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে হবে৷
হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা মানুষদের বর্জ্য সংগ্রহ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করার আর্জি জানিয়ে এর আগেই সুভাষ দত্ত চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে। প্রত্যেকের কাছেই অনুরোধ করেন, এখন বহু মানুষ বাইরে থেকে রাজ্যে ফিরছেন। তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এদের অনেকেরই ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস-সহ অন্য চিকিৎসা-বর্জ্য যেন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করা হয়৷ না-হলে যেখানে-সেখানে এসব বর্জ্য সামগ্রী পড়ে থাকলে তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাবে৷ প্রশাসনের যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি বলেছেন, হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের অধিকাংশই করোনা-আক্রান্ত নন বা তাঁদের কোনও উপসর্গও নেই। তার মানেই যে তাঁরা সম্পূর্ণ নিরাপদ, এমনটাও নয়। বিশেষ করে এখন অনেক আক্রান্তেরই উপসর্গ না-থাকার বিষয়টা আরও দুশ্চিন্তার। এই পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারান্টাইনের বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সতর্কতা দরকার।